9 September 2014

বাবা-মায়ের সাথে সন্তানেরা মনের কথা শেয়ার করতে পারে না

একটা অদ্ভুত প্রথা চলছে এ সমাজে। ঘরের মানুষদের কাছে ভালো ব্যবহার পাওয়া দুষ্কর হয়, রাগারাগি, ঝগড়াঝাটি, কথা কাটাকাটি চলে নিয়মিত। বাবা-মায়ের সাথে সন্তানেরা মনের কথা শেয়ার করতে পারে না সম্পর্কের জটিলতার কারণে, অথচ সেই সন্তানটিই বাইরে কোন বন্ধু বা বড় ভাইয়ের হাতে তার জীবনের স্পর্শকাতর 'শেয়ারিং' করে ভবিষ্যতকে জটিলতর করে ফেলে। মা-কে মেয়ের আন্তরিক গলায় কথা বলা হয় না কিন্তু বান্ধবীর সাথে ঘন্টার পর ঘন্টা মিষ্টি কথোপকথন হয়। ঘরে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে মনোমালিন্য হয়, সেটা তারা সমাধানও করে না। কিন্তু তারা যখন কর্মস্থলে যায় তাদের পুরুষ-মহিলা কলিগদের সাথে মিষ্টি কথায়, মিষ্টি ভাষায় আলাপচারিতা শুনে ঘরকে অপছন্দ হতে থাকে। কর্মক্ষেত্রের সংস্কৃতি যদি মিষ্টি ভাষা ও সুন্দর ভাষা হয়, ঘরের মাঝে আদববিহীন আচরণ, নোংরা ভাষা ও অহংবোধের এইসব প্রদর্শনী আমাদের পরিবারগুলোকেই ধ্বংস করছে। কোন স্ত্রী স্বামীর প্রতি কঠোর ও তিক্ত ভাষা ব্যবহার করতে থাকে কোন চিন্তা মাথায় নিয়ে সেটা খুবই অবাক করা বিষয়। আমাদের সমাজের সংসারগুলোর এই ক্ষয় ও দুর্গতি নিয়ে সবারই চিন্তা করা উচিত। নিজেদের প্র্যাকটিসিং বলে বলে মুখে ফ্যানা তুলে ফেলা মানুষদের পরিবারেও অজস্র সমস্যা এখন। অথচ আল্লাহর কাছে সেই ব্যক্তি প্রিয় যার আচরণ সুন্দর, শুধু চরিত্রই যথেষ্ট নয়। অন্যদের সাথে কেমন করে ব্যবহার করা হয় সেটাও গুরুত্বপূর্ণ।