4 September 2016

এক কাপ চা আর কিছু নির্মল আনন্দ

একটু সকাল সকাল অফিসপাড়ায় চলে এলাম। ফুটপাথের একটা চা দোকানে দাঁড়ালাম।বিক্রেতা পত্রিকা পড়ছেন -- 'মানবজমিন'। চা-ওয়ালার বেচাকিনি খুবই চলে, ৮টাকা কাপ চা বিক্রি করেন। তার ফুট দশেক দূরেই চায়ের দোকানটা বন্ধ, উপায় নেই বলে বিনীতস্বরে পত্রিকা-পাঠকের কাছেই এক কাপ চা চাইলাম।

এমন সময় এক শুভ্র দাড়ির এক লোকের আবির্ভাব, প্রথমেই কথা -- 

"ঐ চা দেও চা দেও, তুমি আবার কী পেপার পড়ো। চা দেও।" 

আপত্তিকর বাক্য সন্দেহ নেই। যাই হোক, তাকে যা পরিবেশন করা হলো, চায়ের কাপ হাতে নিয়ে বয়াম থেকে বিস্কুট বের করে নিলো -- 

"এই বিস্কুট তো তিন দিনের পুরান। এইটা তো তিন দিন আগের।" 

সকালের নিরবতায় মনোযোগ এই লোকের কথার দিকেই যাচ্ছিলো। আমি মনের আনন্দে শেষ চুমুকটা দিয়ে টাকা শোধ করছি সেই সময় লোকটার অভিযোগ -- 

"চায়ে দেখি সাবানের গন্ধ। ওই, চায়ে তো সাবানের গন্ধ লাগে।"

এইবার আর থাকতে পারলাম না। হেসে ফেললাম। মুখে কয়েকমিনিট হাসি ছিলো, অনেকে আমার হাসি দেখে তাকিয়েও ছিলো। না হেসে কী করবো, কত বিচিত্র মানুষ এই শহরে, এক কাপ চা খেতেই কত অভিযোগ। 

6 August 2016

একজন কিংবদন্তীর কথা বলছি


রবীন্দ্র উত্তর আধুনিক কালের কবিদের মধ্যে যিনি শব্দচয়নে, জীবনবোধে, শব্দালংকারের নান্দনিকতায়, বর্ণনায় অসামান্য আর ধ্রুপদী, তিনি কবি আল মাহমুদ। বাংলা সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ কবিদের দলে তার নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে এই কথা নিঃসন্দেহে বলা যায়। 'সোনালী কাবিন' কাব্যগ্রন্থটি একটি মাস্টারপিস হিসেবেই সমাদৃত হয়েছে, এমনকি কবির একচোখা সমালোচক ও নিন্দুকদের মাঝেও। এই কাব্যগ্রন্থটি অনুবাদ হয়েছে অনেকগুলো ভাষায়। কবি আল মাহমুদের হাতে জন্ম নিয়েছে 'মায়াবী পর্দা দুলে ওঠো', 'বখতিয়ারের ঘোড়া'র মতন অসামান্য কিছু কাব্যগ্রন্থ। শিশুদের জন্য তার কাব্যগুলোও নান্দনিক আর সর্বজন সমাদৃত।

21 March 2016

একজন কবির জীবন

কবিদের মনে হয় নিজ জীবন বলে কিছু থাকেনা।
কবিদের অনেকগুলো চোখ থাকে -- দৃশ্যমান, আত্মিক, শাব্দিক।
কবিদের তাই ঘুম হয়না সবার মতন।
একজন কবি, আয়েশ করে দিন কাটিয়ে দিতে পারেন না।

আল মাহমুদ বলেছিলেন, কবিতা হলো ম্লান মায়ের মুখ, হাঁটুজল পানি
রুদ্র বলেছিলেন তার ভালোবাসার সময় নেই, বন্দী চোখ পাহারা দেয় খল সামাজিক নখ।
শহীদ কাদরী তেমনি চেয়েছিলেন সময়ের কাছে দু'টি অর্থ, অর্থাভাবে ক্লিষ্ট।

কবিরা তাই সম্পদশালী হন না। কবিদের চোখে থাকে চারপাশ জীবন।
সমাজের খল চোখকে পাহারা দেন একজন কবি।
কবিদের তাই প্রিয়ার সাথে বনে-বাদাড়ে ঘোরা হয়না।

সুনীলের কবিতায় তাই তিনি বলেছিলেন, যদি নির্বাসন দাও আমি ওষ্ঠে অঙ্গুরী ছোয়াব।
হেলাল হাফিজ বলেছিলেন, নিউট্রন বোমা চেন মানুষ চেন না?
কবিরা বোধকে নিয়ে ভাবেন, কবিদের চেতনায় সমাজ গেঁথে থাকে।

কবিরা সবাইকে বোঝেন, কবিদের কেউ বোঝেনা। কবিরা নিঃসঙ্গ, একা।
কবিরা শব্দ বুনে চলেন সমাজকে গেঁথে দিয়ে কালের কাছে ধরে দিতে।
অথচ কবিরা হারিয়ে যান এই কালের গভীরে।
বিদায়কালে কবিরা খুব ভুগতে থাকেন, যন্ত্রণায়।
সব জেনে বুঝেও তিনি হাল ছাড়েন না, সমাজকে এঁকে চলেন শব্দে।

২৪ জানুয়ারী ২০১৩, সকাল ১০:০৮ 

11 March 2016

যেই সমাজে বিয়ে কঠিন হয়, সেই সমাজে ব্যভিচার সস্তা হয়ে যায়

পথ চলতে গিয়ে চোখে অনেক কিছু ভেসে ওঠে আমাদের - সবাই একভাবে দেখে না। দেখার দৃষ্টি বদলায় চিন্তার ক্ষমতার কারণে। তার লেখাটা গভীর চিন্তার প্রতিচ্ছবি। কিছু কথা জমলো যা লেখা দরকার... যেই সমাজে বিয়ে কঠিন হয়, সেই সমাজে ব্যভিচার সস্তা হয়ে যায়... একটি উচ্ছ্বল তরুণী যখন অনেক সাজুগুজু করে একটা ছেলের হাত ধরে রাস্তায় উড়ে উড়ে চলে -- তখন তাকে দেখলে কে কী মনে করেন জানিনা, আমার মনে হত অন্যকিছু। এই মেয়েটা অনেক প্রস্তুতি নিয়েই রাস্তায় বের হয়েছে, সাজুগুজু মেয়েরা অনেক সময় নিয়ে চিন্তা করে। কালার ম্যাচিং, ফিটিং এটা ওটা। এরপর রাতের বেলা একটা ছেলের হাত ধরে পার্কে হাঁটা। হয়ত বাবা-মা তখন ভাবছেন -- মেয়েটা ঢাকায় পড়াশোনা করছে। অন্তত তারা অনেক বড়ো কিছু স্বপ্ন নিয়েই তাদের পাঠান শহরে। ঢাকার মধ্যবিত্ত মেয়েরা রাত ঘরে পথে ঘুরেনা সচরাচর। পরিবারগুলো একদমই বিকিয়ে যায়নি।

8 March 2016

জীবনসঙ্গী খুঁজছেন কিন্তু পাচ্ছেন না? তাহলে আপনার জন্যেই এই লেখা

​​​চারপাশে সবাই বিভিন্ন দিবসের নামে সেজেগুজে বেড়াচ্ছে... প্রচুর ছেলে দেখা যায়, প্রচুর মেয়ে দেখা যায়। কিন্তু আপনার জীবনসঙ্গী হবার মতন কোন মানুষকে আপনি মনে মনে হলেও কোথাও খুঁজে পান না, তাইনা? হয়ত ভাবছেন, কোথায় পাবেন আপনার মানুষটাকে, কে খুঁজে দেবে আপনার উপযুক্ত জীবনসঙ্গী/জীবনসঙ্গিনী?