tag:blogger.com,1999:blog-79529588260591560732024-02-20T15:19:45.151+06:00আগন্তুকঅপস্রোতের সমাজে জীবনকে ভিন্নচোখে দেখা একজন আগন্তুকের আলাপAbdullahhttp://www.blogger.com/profile/17736303422495172123noreply@blogger.comBlogger64125tag:blogger.com,1999:blog-7952958826059156073.post-40288609027970234872017-03-12T12:52:00.000+06:002015-10-20T14:24:38.111+06:00জীবনে ভালো থাকার জন্য যা করতে হবে<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
জীবন কতনা অদ্ভূত! কখনও কতইনা সুন্দর আর আনন্দময়, আর কখনও কত কষ্টকর! আমাদের জীবনটাই যে এমন! কেউ তো জানিনা আমার যতি চিহ্ন কোথায়… কী নিয়ে দুঃখ করবো আমি? আজ হয়ত আমি অনেক সুখী, যদি আজই চলে যেতে হয় এই জগত ছেড়ে, তবে আমি কি প্রস্তুত যাওয়ার জন্য? আমি যতটুকু সুখে আছি, অনেকেই তো তার চাইতে খারাপ আছেন, তাইনা?জীবনটাই তো এমন! অনেক পাওয়া আর না পাওয়া দিয়ে ঘেরা… অনেক তৃপ্তি আর অতৃপ্তি মাখানো… তাকে তো আপন করে নিলে চলেনা! তাকে সাথে করে চলতে হতে হয়। এলোমেলো হয়ে গেলেও প্রস্তুত হতে হবে আখিরাতের জন্য… সেটাতে ভুলে গেলে চলবেই না!<br />
<a href="https://www.blogger.com/blogger.g?blogID=7952958826059156073" name="more"></a><br />
<br />
একটা কথা শুনেছিলাম : জীবনে যা ঘটেছে, তা ভালো হয়েছে। যা হচ্ছে, তা-ও ভালো হচ্ছে। আর ভবিষ্যতে যা ঘটবে, তা-ও ভালোই হবে<br />
<br />
<br />
ছেলেবেলায় শোনা সেই গল্পের কথা মনে পড়ে গেলোঃ<br />
এক লোক মসজিদ থেকে বের হয়ে দেখেন তার জুতো জোড়া হারিয়ে গেছে। ভীষণ মন খারাপ করে তিনি পথ চলতে শুরু করলেন খালি পায়ে। কিছুদূর যাবার পর তিনি দেখলেন একজন ভিক্ষুককে যার দু’টো পা-ই নেই… তখন তার নিজের জুতো হারাবার দুঃখ ঘুচে গেলো… আমার তো অন্ততঃ দু’টো পা অক্ষত আছে! যাক না দু’জোড়া জুতো…<br />
এটা মনে হয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম-এর একটা কবিতায় পড়েছিলাম আমরা।<br />
যা হারিয়ে গেছে আমার, তার চাইতে অনেক বেশি কিছু আমার কাছেই আছে। অনেকের কাছে সেটুকুও তো নেই! এটাই হয়ত আত্মিক শান্তি অর্জনের ভাবনা হওয়া উচিত। আর সেই শান্তির খোজেই তো আমরা ছুটে চলেছি জগতময়! যদি মনেই শান্তি পাওয়া যায়, তবে আর ক্ষতি কী?<br />
আজ কিছু টিপস, কীভাবে ভালো থাকা যায় :<br />
<ul>
<li>নিজেকে কখনও অন্যের সাথে তুলনা করবেন না।</li>
<li>নেগেটিভ চিন্তা ভাবনা থেকে বিরত থাকুন। সবকিছুকে পজেটিভ ভাবে গ্রহন করতে চেষ্টা করুন।</li>
<li>নিজেকে নিয়ে এবং কাছের মানুষদেরকে নিয়ে অনর্থক বেশি দুঃচিন্তা করবেন না। মনে রাখবেন, দুঃশ্চিন্তা কখনোই সমস্যার সমাধান করবেনা।</li>
<li>নিছক আড্ডা দিয়ে সময়ের অপচয় করবেন না।</li>
<li>শত্রুতা এবং অন্যের প্রতি ঘৃণা বজায় রাখবেন না। এতে কেবল দুঃশ্চিন্তা বাড়ে এবং মানসিক শান্তি নষ্ট হয়, যা আপনার স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলতে পারে।</li>
<li>নিজের এবং অন্যের অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিন, শিক্ষাকে মনে রাখুন, ভুলকে ভুলে যান। অতীতের ভুল নিয়ে অতিরিক্ত ঘাটাঘাটি করে তিক্ততা বাড়িয়ে বর্তমানের সুন্দর সময়কে নষ্ট করবেন না।</li>
<li>মনে রাখবেন, জীবন একটি বিদ্যালয় যেখানে আপনি শিখতে এসেছেন। জীবনের যত সমস্যা তা এই বিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচির অন্তর্ভুক্ত, এ নিয়ে তাই চিন্তা না করে বীজগণিতের মত সমাধানের চেষ্টা করুন।</li>
<li>প্রচুর পরিমাণে হাসুন এবং সবসময় হাসিখুশী থাকার অভ্যাস করুন। সেই সাথে অন্যদেরকেও হাসিখুশী রাখতে চেষ্টা করুন।</li>
<li>জীবনের সব ক্ষেত্রে জয় লাভ করা অসম্ভব। তাই হার মেনে নিতে প্রস্তুত থাকুন। এটাও আপনার একটা মানসিক বিজয়।</li>
<li>অন্যের দোষ-ত্রুটি ক্ষমা-সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার চেষ্টা করুন।</li>
<li>অন্যেরা আপনাকে নিয়ে কি ভাববে তা নিয়ে চিন্তিত হবার কিছু নেই। নিজের কাজ করে যান আত্মবিশ্বাস নিয়ে।</li>
<li>সময়ের কাজ সময়ে করুন, কিছুতেই এখনকার কাজ পরে করার জন্যে ফেলে রাখবেন না।</li>
<li>যেসব জিনিস চিত্তাকর্ষক ও আকর্ষণীয়, কিন্তু ও উপকারী নয়, তা থেকে দূরে থাকুন।</li>
<li>সুসময় বা দুঃসময় যাই হোক না কেন, সবই বদলাবে, এটাই চিরন্তন নিয়ম, তাই কোনো কিছুতেই অতিরিক্ত উৎফুল্ল বা অতিরিক্ত দুঃখিত হবেন না।</li>
</ul>
অনেক তো শুনলাম… এবার শুধু একটা কথা বলতে চাই… মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন পবিত্র কুরআনে বলেছেনঃ<br />
“তোমরা ধৈর্য্য ও সালাতের সাহায্যে আল্লাহর নিকট সাহায্য প্রার্থনা কর। নিশ্চয়ই আল্লাহ ধৈর্য্যশীলদের সাথে আছেন।” (সূরা বাকারা: ১৫৩)<br />
এই স্বল্প সময়ের পৃথিবীতে যেন আমরা আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করে বিদায় নিতে পারি সেই প্রার্থনা আমার সবার জন্য রইলো। আল্লাহ আমাদের ক্ষমা করুন, সঠিক পথ প্রদর্শন করুন। সঠিক পথ তো সে-ই পায়, যে তার জন্য স্বপ্ন দেখে, চেষ্টা করে, হৃদয় যার লালায়িত থাকে মুক্তির প্রত্যাশায়…</div>
Anonymousnoreply@blogger.com2tag:blogger.com,1999:blog-7952958826059156073.post-68110736466189088782016-09-04T13:03:00.000+06:002015-11-17T11:08:23.160+06:00এক কাপ চা আর কিছু নির্মল আনন্দ<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<div class="gmail_default" style="font-family: georgia,serif;">
<div class="gmail_default" style="font-family: arial;">
<span style="font-family: "georgia" , serif;">একটু সকাল সকাল অফিসপাড়ায় চলে এলাম। ফুটপাথের একটা চা দোকানে দাঁড়ালাম।বিক্রেতা পত্রিকা পড়ছেন -- 'মানবজমিন'। চা-ওয়ালার বেচাকিনি খুবই চলে, ৮টাকা কাপ চা বিক্রি করেন। তার ফুট দশেক দূরেই চায়ের দোকানটা বন্ধ, উপায় নেই বলে বিনীতস্বরে পত্রিকা-পাঠকের কাছেই এক কাপ চা চাইলাম।</span></div>
<div class="gmail_default" style="font-family: arial;">
<span style="font-family: "georgia" , serif;"><br /></span></div>
<div class="gmail_default" style="font-family: arial;">
<span style="font-family: "georgia" , serif;">এমন সময় এক শুভ্র দাড়ির এক লোকের আবির্ভাব, প্রথমেই কথা -- </span></div>
<div class="gmail_default" style="font-family: arial;">
<span style="font-family: "georgia" , serif;"><br /></span></div>
<div class="gmail_default" style="font-family: arial;">
<span style="font-family: "georgia" , serif;">"ঐ চা দেও চা দেও, তুমি আবার কী পেপার পড়ো। চা দেও।" </span></div>
<div class="gmail_default" style="font-family: arial;">
<span style="font-family: "georgia" , serif;"><br /></span></div>
<div class="gmail_default" style="font-family: arial;">
<span style="font-family: "georgia" , serif;">আপত্তিকর বাক্য সন্দেহ নেই। যাই হোক, তাকে যা পরিবেশন করা হলো, চায়ের কাপ হাতে নিয়ে বয়াম থেকে বিস্কুট বের করে নিলো -- </span></div>
<div class="gmail_default" style="font-family: arial;">
<span style="font-family: "georgia" , serif;"><br /></span></div>
<div class="gmail_default" style="font-family: arial;">
<span style="font-family: "georgia" , serif;">"এই বিস্কুট তো তিন দিনের পুরান। এইটা তো তিন দিন আগের।" </span></div>
<div class="gmail_default" style="font-family: arial;">
<span style="font-family: "georgia" , serif;"><br /></span></div>
<div class="gmail_default" style="font-family: arial;">
<span style="font-family: "georgia" , serif;">সকালের নিরবতায় মনোযোগ এই লোকের কথার দিকেই যাচ্ছিলো। আমি মনের আনন্দে শেষ চুমুকটা দিয়ে টাকা শোধ করছি সেই সময় লোকটার অভিযোগ -- </span></div>
<div class="gmail_default" style="font-family: arial;">
<span style="font-family: "georgia" , serif;"><br /></span></div>
<div class="gmail_default" style="font-family: arial;">
<span style="font-family: "georgia" , serif;">"চায়ে দেখি সাবানের গন্ধ। ওই, চায়ে তো সাবানের গন্ধ লাগে।"</span></div>
<div class="gmail_default" style="font-family: arial;">
<span style="font-family: "georgia" , serif;"><br /></span></div>
<div class="gmail_default" style="font-family: arial;">
<span style="font-family: "georgia" , serif;">এইবার আর থাকতে পারলাম না। হেসে ফেললাম। মুখে কয়েকমিনিট হাসি ছিলো, অনেকে আমার হাসি দেখে তাকিয়েও ছিলো। না হেসে কী করবো, কত বিচিত্র মানুষ এই শহরে, এক কাপ চা খেতেই কত অভিযোগ। </span></div>
</div>
</div>
Anonymousnoreply@blogger.com1tag:blogger.com,1999:blog-7952958826059156073.post-81057430956871678792016-08-06T13:53:00.000+06:002015-10-20T14:15:35.187+06:00একজন কিংবদন্তীর কথা বলছি<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<br />
রবীন্দ্র
উত্তর আধুনিক কালের কবিদের মধ্যে যিনি শব্দচয়নে, জীবনবোধে, শব্দালংকারের
নান্দনিকতায়, বর্ণনায় অসামান্য আর ধ্রুপদী, তিনি কবি আল মাহমুদ। বাংলা
সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ কবিদের দলে তার নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে এই কথা
নিঃসন্দেহে বলা যায়। 'সোনালী কাবিন' কাব্যগ্রন্থটি একটি মাস্টারপিস হিসেবেই
সমাদৃত হয়েছে, এমনকি কবির একচোখা সমালোচক ও নিন্দুকদের মাঝেও। এই
কাব্যগ্রন্থটি অনুবাদ হয়েছে অনেকগুলো ভাষায়। কবি আল মাহমুদের হাতে জন্ম
নিয়েছে 'মায়াবী পর্দা দুলে ওঠো', 'বখতিয়ারের ঘোড়া'র মতন অসামান্য কিছু
কাব্যগ্রন্থ। শিশুদের জন্য তার কাব্যগুলোও নান্দনিক আর সর্বজন সমাদৃত।<br />
<a name='more'></a><br />
<br />
<img src="http://www.bdtomorrow.com/blog/bloggeruploadedimage/safwanism/1384101531.jpg" /><br />
আল
মাহমুদ একজন মৌলিক কবি। তিনি বাংলা কবিতায় সৃষ্টি করেছেন এক ভিন্নমাত্রা।
একজন কবির বড়ত্ব তার কাব্যভাষা, চিত্রকল্প এবং ছন্দের নতুনত্বে । আল
মাহমুদের বড়ত্ব তার নিজস্ব বাকরীতি প্রবর্তনে এবং অদ্ভুত সুন্দর চিত্রকল্প
নির্মানে।<br />
<br />
এমনই এক ছবি পাই আমরা 'কালের কলস' কাব্যগ্রন্থে :<br />
<br />
<blockquote class="tr_bq">
"এ বিষণ্ণ বর্ণনায় আমি কি অন্তত একটি পংক্তিও হবো না<br />
হে নীলিমা, হে অবগুণ্ঠন?<br />
লোকালয় থেকে দূরে, ধোঁয়া অগ্নি মশলার গন্ধ থেকে দূরে<br />
এই দলকলসের ঝোপে আমার কাফন পরে আমি কতকাল<br />
কাত হয়ে শুয়ে থেকে দেখে যাবো সোনার কলস আর বৃষের বিবাদ?"</blockquote>
<br />
[<a href="http://shunno.wordpress.com/2009/07/15/poem3-2/" target="_blank">কালের কলস</a>]<br />
<br />
'সোনালী
কাবিন' সনেট গুচ্ছে কবি উপমার যেই নান্দনিক ব্যবহার করেছেন, তা বাংলা
কবিতার জগতকে দিয়েছে নতুন মাত্রা। ইতিহাসকে তিনি নিয়ে এসেছেন অবলীলায়, তাকে
প্রবেশ করিয়েছেন অনুভূতির মাঝে, তার সৌন্দর্যময় শব্দচয়নে --<br />
<br />
<blockquote class="tr_bq">
"এ তীর্থে আসবে যদি ধীরে অতি পা ফেল সুন্দরী,<br />
মুকুন্দরামের রক্ত মিশে আছে এ মাটির গায়।<br />
ছিন্ন তালপত্র ধরে এসো সেই গ্রন্থ পাঠ করি<br />
কত অশ্রু লেগে আছে এই জীর্ণ তালের পাতায়।"</blockquote>
<br />
[<a href="http://shunno.wordpress.com/2009/07/15/poem1/" target="_blank">সোনালি কাবিন-১</a>]<br />
<br />
বাংলা কবিতা কী, তাতে কী খুঁজে পাওয়া যায়, সেকথা বুঝতে হলে আল মাহমুদের কবিতায় ফিরে যাই আমরা --<br />
<br />
"কবিতা কি ?<br />
কবিতা তো শৈশবের স্মর্তি<br />
কবিতা চরের পাখী , কুড়ানো হাসের ডিম , গন্ধভরা ঘাস<br />
স্নান মুখ বউটির দড়িছেড়া হারানো বাছুর<br />
কবিতাতো মক্তব্যের মেয়ে চুলখোলা আয়েশা আক্তার ।"<br />
<br />
[<a href="http://shunno.wordpress.com/2009/07/30/almahmud13-2/" target="_blank">কবিতা এমন</a>]<br />
<br />
তিনি
তার কাব্যে বহু বিচিত্র বিষয়ের চিত্রকল্প নির্মান করেছেন। দেশজ চেতনা,
লোককাহিনী আর ঐতিহাসিক ঘটনাবলীর সৌন্দর্যে আপ্লুত আল মাহমুদ একজন
মিথলজিক্যাল রোমান্টিক কবি। যেমন তিনি তার শ্রেষ্ট কর্ম 'সোনালী কাবিন ' এ
মাতৃভুমির ইতিহাস খনন করে তুলে এনেছেন ঐশ্বর্যময় অনুসঙ্গ। এতে তিনি
শক্তিমত্তার সাথে রোমান্টিসজম প্রবেশ করিয়েছেন যা 'সোনালী কাবিন ' সনেট
গুচ্ছকে করেছে অনুপম সৌকর্যময় --<br />
<br />
<blockquote>
"প্রেমকেও ভেদ করে সর্বভেদী সবুজের মূল,<br />
চিরস্থায়ী লোকালয় কোনো যুগে হয়নি তো গড়া<br />
পারেনি ঈজিপ্ট, গ্রীস, সেরাসিন শিল্পীর আঙুল।<br />
কালের রেঁদার টানে সর্বশিল্প করে থর থর<br />
কষ্টকর তার চেয়ে নয় মেয়ে কবির অধর। "</blockquote>
<br />
[<a href="http://shunno.wordpress.com/2009/07/15/poem1/" target="_blank">সোনালি কাবিন -৫</a>]<br />
<br />
শুধু
তাই নয়, কবির কবিতায় ফুটে উঠেছে তার বিশ্বাস। তিনি পৃথিবী ছেড়ে চলে যাবার
কথাও স্মরণ করেছেন, আর সেই মৃত্যুচিন্তার অনুভূতিগুলো ফুটে উঠেছে বিদগ্ধ
শব্দচয়নে -<br />
<br />
<blockquote class="tr_bq">
"স্মৃতির মেঘলাভোরে শেষ ডাক ডাকছে ডাহুক<br />
অদৃশ্য আত্মার তরী কোন ঘাটে ভিড়ল কোথায়?<br />
কেন দোলে হৃদপিণ্ড, আমার কি ভয়ের অসুখ?<br />
নাকি সেই শিহরণ পুলকিত মাস্তুল দোলায়!<br />
আমার যাওয়ার কালে খোলা থাক জানালা দুয়ার<br />
যদি হয় ভোরবেলা স্বপ্নাচ্ছন্ন শুভ শুক্রবার।"</blockquote>
<br />
[<a href="http://shunno.wordpress.com/2009/08/01/260/" target="_blank">স্মৃতির মেঘলাভোরে </a>]<br />
<br />
এই
সময়ের শ্রেষ্ঠ কবি তার কবিতায় ফুটিয়ে তুলেছেন স্রষ্টার বিশ্বাসে আলোকিত
চেতনার আবেগ। তার সেই চেতনাকে মূর্ত করেছেন শব্দে, অনুভূতির অবয়বে। কবিতায়
ফুটে উঠেছে তার বিশ্বাসের প্রতিচ্ছবি, প্রকাশ পেয়েছে দৃপ্ত বিশ্বাস আর
জীবনের গন্তব্য, তাতে নেই সংশয়, শংকা। তারই অনবদ্য সৃষ্টিতে বিশ্বাসীদের
অনুভূতিকে শব্দ দিয়ে মালা গেঁথে তিনি লিখেছেন -<br />
<br />
<blockquote class="tr_bq">
"আমরা তো বলেছি আমাদের যাত্রা অনন্ত কালের।<br />
উদয় ও অস্তের ক্লান্তি আমাদের কোনদিনই বিহবল করতে পারেনি।<br />
আমাদের দেহ ক্ষত-বিক্ষত,<br />
আমাদের রক্তে সবুজ হয়ে উঠেছিল মূতার প্রান্তর।<br />
পৃথিবীতে যত গোলাপ ফুল ফোটে তার লাল বর্ণ আমাদের রক্ত,<br />
তার সুগন্ধ আমাদের নিঃশ্বাসবায়ু।<br />
আমাদের হাতে একটি মাত্র গ্রন্থ আল কুরআন,<br />
এই পবিত্র গ্রন্থ কোনদিন, কোন অবস্থায়, কোন তৌহীদবাদীকে থামতে দেয়নি।<br />
আমরা কি করে থামি ?<br />
আমাদের গন্তব্য তো এক সোনার তোরণের দিকে যা এই ভূ-পৃষ্ঠে নেই।"</blockquote>
<br />
[<a href="http://alorpothe.wordpress.com/2011/10/20/amader-michil-almahmud/" target="_blank">আমাদের মিছিল</a>]<br />
<br />
নিভৃতচারী
কবি আল মাহমুদ আজো আমাদের মাঝে বেঁচে আছেন। কবির অসংখ্য গুণমুগ্ধের মাঝে
আমিও একজন। আজ কবির পুরনো অনেক লেখা সংকলন করে এই লেখাটি
শ্রদ্ধার্ঘ্যস্বরূপ প্রকাশ করছি অজস্র পাঠকদের মাঝে। কবি সুস্বাস্থ্য আর
সুন্দর মন নিয়ে আমাদের মাঝে বেচে থাকুন আরো অনেকদিন।<br />
<br />
<img src="http://www.bdtomorrow.com/blog/bloggeruploadedimage/safwanism/1384101600.jpg" /><br />
<br />
<u><b> কবি আল মাহমুদের সংক্ষিপ্ত জীবনী</b></u><br />
<br />
কবি
আল মাহমুদ ১৯৩৬ সালের ১১ জুলাই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মোড়াইল গ্রামে
জন্মগ্রহণ করেন কবি। একুশ বছর বয়স পর্যন্ত এ শহরে এবং কুমিল্লা জেলার
দাউদকান্দি থানার অন্তর্গত জগৎপুর গাঁয়ের সাধনা হাই স্কুলে পড়াশোনা করেন।
এসময়েই লেখালেখি শুরু। ঢাকা ও কলকাতার সাহিত্য-সাময়িকীগুলোতে ১৯৫৪ সাল
থেকে তার কবিতা প্রকাশ পেতে থাকে। কলকাতার নতুন সাহিত্য, চতুস্কোণ,
চতুরঙ্গ, ময়ূখ ও কৃত্তিবাসে লেখালেখির সুবাদে ঢাকা ও কলকাতার পাঠকদের কাছে
তার নাম সুপরিচিত হয়ে ওঠে। এসময় বুদ্ধদেব বসু সম্পাদিত ‘কবিতা’
পত্রিকায় তাঁর কয়েকটি কবিতা ছাপা হলে সমসাময়িক কবি-মহলে তাঁকে নিয়ে
আলোচনা শুরু হয়। ঢাকা থেকে প্রকাশিত সিকানদার আবু জাফর সম্পাদিত ‘সমকাল’
পত্রিকায় তখন তিনি নিয়মিত লিখতে শুরু করেন।<br />
<br />
তিনি আধুনিক বাংলা
কবিতার তিরিশদশকীয় প্রবণতার মধ্যেই ভাটি বাংলার জনজীবন, গ্রামীণ দৃশ্যপট,
নদীনির্ভর জনপদ, চরাঞ্চলের কর্মমুখর জীবনচাঞ্চল্য ও নর-নারীর চিরন্তন
প্রেম-বিরহের বিষয়কে অবলম্বন করেন। আধুনিক বাংলা ভাষার প্রচলিত কাঠামোর
মধ্যেই স্বাভাবিক স্বতঃস্ফূর্ততায় আঞ্চলিক শব্দের সুন্দর প্রয়োগে
কাব্যরসিকদের মধ্যে আল মাহমুদ নতুন পুলক সৃষ্টি করেন। সমালোচকগণ তাঁকে
জসীমউদদীন ও জীবনানন্দ দাশ থেকে সম্পূর্ণ স্বতন্ত্রধারার এক নতুন কবি
প্রতিভা বলে উল্লেখ করতে থাকেন।<br />
<br />
এ-সময় লোক-লোকান্তর, কালের কলস
প্রকাশিত হয়। আল মাহমুদ মাত্র দু’টি কাব্যগ্রন্থের জন্য ১৯৬৮ সালে বাংলা
একাডেমি পুরষ্কারে ভূষিত হন।<br />
<br />
১৯৭১ সালের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে আল মাহমুদ সরাসরি অংশগ্রহণ করেন।<br />
<br />
‘৭১-এ
বিজয়ীর বেশে কবি দেশে ফিরে এসে ‘গণকণ্ঠ’ নামক একটি দৈনিক পত্রিকা প্রকাশ
করেন এবং দেশে গণতন্ত্র ও সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের
বৈপ্লবিক আন্দোলনকে সমর্থন দানের অপরাধে গ্রেফতার হন। তাঁর আটকাবস্থায়
সরকার গণকণ্ঠ পত্রিকা বন্ধ করে দেয়।<br />
<br />
১৯৭৫-এ আল মাহমুদ জেল থেকে
ছাড়া পেয়ে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি’র গবেষণা বিভাগের সহ-পরিচালকের পদে
যোগদান করেন। পরে ওই বিভাগের পরিচালকরূপে ১৯৯৩ সালের এপ্রিলে তিনি অবসর
নেন।<br />
<br />
কবিতা, ছোটগল্প, উপন্যাস ও প্রবন্ধের বই মিলিয়ে আল মাহমুদের
বইয়ের সংখ্যা তিরিশের বেশি। তিনি বহু পত্র-পত্রিকা ও সাময়িকী সম্পাদনা
করেছেন।<br />
<br />
কবির শখ বইপড়া ও ভ্রমণ। তাঁর দেখা শহরগুলোর মধ্যে ভারতের
কলকাতা, দিল্লী, ভোপাল, বাঙ্গালোর, আজমির। সৌদি আরবের মক্কা, মদিনা ও
জেদ্দা। আরব আমিরাতের দুবাই, আবুধাবী, শারজাহ ও বনিয়াস। ইরানের তেহরান,
ইস্পাহান ও মাশহাদ। যুক্তরাজ্যের লন্ডন, ম্যানচেস্টার, গ্লাসগো, ব্রেডফোর্ড
ও ওল্ডহাম অন্যতম।<br />
<br />
আল মাহমুদ রাষ্ট্রীয় পুরষ্কার একুশে পদকসহ বেশ
কিছু সাহিত্য পুরষ্কারে ভূষিত হয়েছেন। এর মধ্যে ফিলিপস সাহিত্য পুরষ্কার,
অগ্রণী ব্যাংক শিশুসাহিত্য পুরষ্কার, অলক্ত সাহিত্য পুরষ্কার, সুফী মোতাহের
হোসেন সাহিত্য স্বর্ণপদক, লেখিকা সংঘ পুরস্কার, ফররুখ স্মৃতি পুরষ্কার,
হরফ সাহিত্য পুরস্কার ও জীবনানন্দ দাশ স্মৃতি পুরষ্কার অন্যতম।<br />
<br />
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর থানার বীরগাঁও গ্রামের সৈয়দা নাদিরা বেগম কবির সহধর্মিণী। তাঁদের পাঁচ পুত্র ও তিন কন্য।<br />
<br />
তার
লেখা সেরা কাব্যগ্রন্থের মধ্যে রয়েছে লোক লোকান্তর, কালের কলস, সোনালি
কাবিন, মায়াবী পর্দা দুলে ওঠো, অদৃষ্টবাদীদের রান্নাবান্না, বখতিয়ারের
ঘোড়া, আরব্য রজনীর রাজহাঁস, প্রহরান্তের পাশফেরা, একচক্ষু হরিণ,
মিথ্যাবাদী রাখাল, আমি দূরগামী, দোয়েল ও দয়িতা।<br />
<br />
শিশুদের জন্য লেখা তার কাব্যগ্রন্থ হলো ‘পাখির কাছে ফুলের কাছে’।<br />
<br />
=============================<br />
<br />
<br />
<ul style="text-align: left;">
<li> কবি আল মাহমুদের আনঅফিশিয়াল <a href="http://facebook.com/kobi.al.mahmud" target="_blank">ফেসবুক পেজ</a> </li>
<li> আল মাহমুদের উপরে কিছু সংগ্রহ : <a href="http://shunno.wordpress.com/almahmud" target="_blank">একজন কিংবদন্তীর কথা</a> </li>
<li> <a href="http://shunno.wordpress.com/category/%e0%a6%95%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%a4%e0%a6%be/%e0%a6%86%e0%a6%b2-%e0%a6%ae%e0%a6%be%e0%a6%b9%e0%a6%ae%e0%a7%81%e0%a6%a6-%e0%a6%95%e0%a6%ac%e0%a6%bf%e0%a6%a4%e0%a6%be/" target="_blank">আল মাহমুদের কবিতা সংগ্রহ </a></li>
</ul>
<br />
<b>তথ্যসূত্রঃ</b><br />
- আল মাহমুদ কবিতাসমগ্র পুস্তকের ভূমিকা।<br />
- উইকিপিডিয়াঃ আল মাহমুদ<br />
- বিভিন্ন পত্রিকা ও ম্যাগাজিন</div>
Anonymousnoreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7952958826059156073.post-78076627447228095892016-03-21T22:50:00.000+06:002015-10-20T14:34:39.539+06:00একজন কবির জীবন<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
কবিদের মনে হয় নিজ জীবন বলে কিছু থাকেনা। <br />
কবিদের অনেকগুলো চোখ থাকে -- দৃশ্যমান, আত্মিক, শাব্দিক। <br />
কবিদের তাই ঘুম হয়না সবার মতন। <br />
একজন কবি, আয়েশ করে দিন কাটিয়ে দিতে পারেন না। <br />
<br />
আল মাহমুদ বলেছিলেন, কবিতা হলো ম্লান মায়ের মুখ, হাঁটুজল পানি <br />
রুদ্র বলেছিলেন তার ভালোবাসার সময় নেই, বন্দী চোখ পাহারা দেয় খল সামাজিক নখ। <br />
শহীদ কাদরী তেমনি চেয়েছিলেন সময়ের কাছে দু'টি অর্থ, অর্থাভাবে ক্লিষ্ট। <br />
<br />
কবিরা তাই সম্পদশালী হন না। কবিদের চোখে থাকে চারপাশ জীবন। <br />
সমাজের খল চোখকে পাহারা দেন একজন কবি। <br />
কবিদের তাই প্রিয়ার সাথে বনে-বাদাড়ে ঘোরা হয়না। <br />
<br />
সুনীলের কবিতায় তাই তিনি বলেছিলেন, যদি নির্বাসন দাও আমি ওষ্ঠে অঙ্গুরী ছোয়াব। <br />
হেলাল হাফিজ বলেছিলেন, নিউট্রন বোমা চেন মানুষ চেন না? <br />
কবিরা বোধকে নিয়ে ভাবেন, কবিদের চেতনায় সমাজ গেঁথে থাকে। <br />
<br />
কবিরা সবাইকে বোঝেন, কবিদের কেউ বোঝেনা। কবিরা নিঃসঙ্গ, একা। <br />
কবিরা শব্দ বুনে চলেন সমাজকে গেঁথে দিয়ে কালের কাছে ধরে দিতে। <br />
অথচ কবিরা হারিয়ে যান এই কালের গভীরে। <br />
বিদায়কালে কবিরা খুব ভুগতে থাকেন, যন্ত্রণায়। <br />
সব জেনে বুঝেও তিনি হাল ছাড়েন না, সমাজকে এঁকে চলেন শব্দে।<br />
<br />
২৪ জানুয়ারী ২০১৩, সকাল ১০:০৮ </div>
Anonymousnoreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7952958826059156073.post-34524417987139456842016-03-11T16:18:00.000+06:002015-05-26T12:19:25.544+06:00যেই সমাজে বিয়ে কঠিন হয়, সেই সমাজে ব্যভিচার সস্তা হয়ে যায়<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
পথ চলতে গিয়ে চোখে অনেক কিছু ভেসে ওঠে আমাদের - সবাই একভাবে দেখে না। দেখার দৃষ্টি বদলায় চিন্তার ক্ষমতার কারণে। তার লেখাটা গভীর চিন্তার প্রতিচ্ছবি। কিছু কথা জমলো যা লেখা দরকার... যেই সমাজে বিয়ে কঠিন হয়, সেই সমাজে ব্যভিচার সস্তা হয়ে যায়...
একটি উচ্ছ্বল তরুণী যখন অনেক সাজুগুজু করে একটা ছেলের হাত ধরে রাস্তায় উড়ে উড়ে চলে -- তখন তাকে দেখলে কে কী মনে করেন জানিনা, আমার মনে হত অন্যকিছু। এই মেয়েটা অনেক প্রস্তুতি নিয়েই রাস্তায় বের হয়েছে, সাজুগুজু মেয়েরা অনেক সময় নিয়ে চিন্তা করে। কালার ম্যাচিং, ফিটিং এটা ওটা। এরপর রাতের বেলা একটা ছেলের হাত ধরে পার্কে হাঁটা। হয়ত বাবা-মা তখন ভাবছেন -- মেয়েটা ঢাকায় পড়াশোনা করছে। অন্তত তারা অনেক বড়ো কিছু স্বপ্ন নিয়েই তাদের পাঠান শহরে। ঢাকার মধ্যবিত্ত মেয়েরা রাত ঘরে পথে ঘুরেনা সচরাচর। পরিবারগুলো একদমই বিকিয়ে যায়নি।<br />
<a name='more'></a><br />
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="http://2.bp.blogspot.com/-Oh5OXXyLjy8/Unny1HzeD_I/AAAAAAAAALg/acI4rgTpC2Q/s1600/pap.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" height="320" src="http://2.bp.blogspot.com/-Oh5OXXyLjy8/Unny1HzeD_I/AAAAAAAAALg/acI4rgTpC2Q/s320/pap.jpg" width="220" /></a></div>
<br />
<br />
বিকিয়েছে সংস্কৃতি। প্রতিটি ঘরেই স্যাটেলাইন কানেকশন। হিন্দি নায়িকারা বিকিনি, টপস পড়ে নিজেদের শরীরের বিভঙ্গকে পুরোপুরি তুলে দেয় ক্যামেরার কাছে। সারাদিন সিরিয়ালে দেখা যায় সুন্দরী প্রদর্শনক্ষম মেয়েদের মূল্য, আকর্ষন। 'সিক্সপ্যাক' শব্দটা আগে শোনা যেতনা -- এখন ছেলেরা প্যাক অর্জনের যন্ত্রণায় অস্থির থাকে। যতই জ্ঞানীগুণী আর হুজুরের পরিবার হোক, এখনকার কিশোর-কিশোরীরা এগুলো অবশ্যই অবশ্যই জানে --এগুলোই তাদের চারপাশ। তাদের এফএম রেডিও সারাদিনই প্রেমের গানে, প্রেমের আলাপে, লাভগুরুতে ভরপুর থাকে। ফ্রেন্ডসদের আড্ডাবাজির এসএমএস পড়ে শোনায়। যাদের কোন মেয়ে/ছেলে নাই "আড্ডা" মারার, "গল্প" করার, "পিকনিক" করার, "ফোনে কথা" বলার -- তারা নিজেদের অসহায় ভাবতে বাধ্য হয়। পারিবারিক জ্ঞান বাবা-মা দিয়ে রাখলে সেক্ষেত্রেও তাদের যুদ্ধ হয় কঠিন যুদ্ধ। প্রতিদিন, অনেকবার। বয়ষ্করা এসব জানেনা, বুঝতেও পারবে না ভিতরে এসব কালচার কীভাবে কাজ করে, আমরাই পারিনা ঠিকমতন! মাত্র ১০বছর আগে অমন ছিলাম তাই অনেক ব্যাকডেটেড আছি!!<br />
<br />
<b>সমাজের ছেলেমেয়েদের শরীর-মনের চাওয়া, বিলম্ব বিয়ে এবং চিন্তা-প্রতিবন্ধী অভিভাবকদের কথা :</b><br />
<br />
একটা ছেলে তার বন্ধুদের মাঝে গিয়ে শুধু গার্লফ্রেন্ডের আলাপ শুনে -- তার কাছে মনে হতে থাকে, আমারো হয়ত থাকা উচিত ছিল। তার সামনে অকূল পাথার, নৈতিকতার সাথে যুদ্ধ। ক'দিন? শরীর আর মনের এই অমোঘ চাওয়ার সাথে ক'দিন যুদ্ধ? ১৬-১৭ তে পরিপূর্ণ বড় হয়ে যাওয়া ছেলেটি সামনে ১০ বছরের বেশি সময়ের নিরাশার দেখা খুজে পায়। বিয়ে হয় এখন ৩০ বছরে। আগে তাদেরই কেবল বিয়ে হয় -- যাদের সম্পদ বেশি। এবং তারা প্রেম করে ধনী মা-বাবার ঘাড়ে উঠেই খরচা করে বিয়ে করে। তাহলে? ১৫ বছর এই ছেলেটা প্রতিটি দিন, প্রতিবেলা যুদ্ধ করে যাবে? আর বাবা-মা কখনই তাদের হয়ে ভাবেন না। আর সম্ভাবনার সীমানা দেখতে না পাওয়ায় তাদের "স্বাভাবিকভাবেই" হতাশা আগলে ধরে। <br />
<br />
অনেক সুশীল ইতর লোক আছে -- এমন আলোচনায় এসে টাকা ইনকামের প্রয়োজনীয়তার গল্প ফাঁদবেন। টাকা দিয়ে বিয়ে হয়না, চলার পথেও টাকার ব্যাপার যা -- তার চাইতে অনেক বেশি স্বভাব আর চরিত্র। চরিত্রহীন সন্তান বা স্বামীর টাকা দিয়ে কারো কিছুই আসে যায় না। অথচ, এই টাকার দেখা, উপার্জনক্ষমতা তখন আপনার কাছে মূল্যহীন হবে, যখন আপনার সন্তান অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে বাসায় ফিরবে। হয়ত তাকে এই শহরের চিপায় চাপায় দেখা যাবে আর ক'দিন পরেই। তখন উপার্জন ধুয়ে পানি খেতে হবে এইসব বেকুব অভিভাবকদের। <br />
<br />
<b>পূর্বের প্রজন্মের পাপ, অলসতা, বুদ্ধিবৃত্তিক অসারতার খেসারত আমাদের নোংরা সংস্কৃতি। সেই অভিভাবকরা আবার সংস্কৃতির উত্তাপের কড়াইতে পরের প্রজন্মকে ভেজে ভেজে লবণ ছিটিয়ে দেন তাদের কথার বুলিতে। অভিভাবকরা তো তাদের উপযুক্ত শিক্ষা পাবেই -- তারা কোনদিনই শান্তি পাবেন না অন্তরে -- এইটা আমি হলফ করে বলতে পারি। বেকুবদের শান্তি পাবার অধিকার নেই। </b><br />
<br />
<b>একটা ছেলে ভার্সিটি লাইফে ক্লাস করে ফিরে পরের দিন ল্যাব/কুইজ না থাকলে কি করে বাসায়/হলে? তার আশেপাশের সবই তার পশুত্বকে জাগিয়ে তোলার জিনিসপত্র। টিভি চ্যানেল, মুভি, নাটক, গান, পত্রিকা, টেলিভিশনের অ্যাড -- সে যদি শুধুই যুদ্ধ করে। ঘরে শিক্ষা না থাকলে ফোনে মেয়েদের কাছে পৌছাতে চায়। রোমান্স আজকাল পথে ঘাটেই থাকে। ভ্যাসলিনের কোমলতা বুঝাইতে টপস পরা মেয়েদের বিলবোর্ডে দেখা যায়। নারীর উন্মুক্ত বগল প্রদর্শনী থাকে ডিওডোরেন্টের অ্যাডে -- ধানমন্ডীর মূল রাস্তায়। বছরের পর বছর 'ভালোবাসার টানে, পাশে আনে' -- বিলবোর্ডে ছেলের বুকে একটা মেয়ে মাথা রেখে হেলান দিয়ে থাকে বিশাল মাঠের ঘাসে। আর এসব থেকে বছরের পর পছর একটা ছেলে যুদ্ধ করতে থাকবে -- তাকে অভিভাবকরা সন্নাসী মনে করে, নাকি নপুংসক মনে করে -- কে জানে? নীতিকথায় শরীর ভিজে? ক'দিন থিওরি বুঝিয়ে সামলাবেন এইসব?</b><br />
<br />
<b>যেই সমাজে বিয়ে কঠিন হয়, সেই সমাজে ব্যভিচার সস্তা হয়ে যায়। </b><br />
<br />
আমার এই লেখা কেউ পড়ুক না পড়ুক। আমি জানি এই ভয়াবহতা কত বেশি। একটা মানুষ কল্পনাও করতে পারবে না এই প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের হাল। যারা সংকীর্ণমনা নির্বোধ ইতর, তারাই কেবল এই কথার প্রতিবাদ করবে -- চিন্তিত না হয়ে। কেননা, আপনি/আপনার সন্তান হয়ত সাময়িকভাবে মুক্ত (আমি বিশ্বাস করিনা, কেননা পদস্খলনে কয়েক মূহুর্ত লাগে), কিন্তু তারা যাদের সাথে চলে -- অথবা এই সমাজেরই আরো অনেক ছেলেমেয়ে সম্পূর্ণ অন্যরকম হয়ে চলেছে। নীতির কথা তাদের কাছে হাস্যকর। তারা আপনাদের ভেজে খাবে। আপনাদের চিন্তার অসারতার কারণেই তা হবে, হবেই। আমি হলফ করে বলতে পারি। <br />
<br />
একটা ছেলে পাশ করে চাকরি করলেও হয়না। তাকে অনেএএএক টাকা ইনকাম করতে হবে। এই ছেলের সম্ভাব্য বউ ততদিনে কলেজ ভার্সিটিতে ডজনখানেক রোমিওর প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়ে বসে থাকে। এরপর ৩০বছর, ৩২ বছরে সবাই ছেলেটিকে বিয়ে দিতে অস্থির হবে -- তখন তার চরিত্র কেমন আছে কে জানে, মেয়েটারটাও কে জানে। বিয়ের পবিত্র আবেগ বহু আগেই তাদের হারিয়ে ক্ষয়ে যায় -- তা যে কেউ বুঝে। শারীরিক-মানসিক এই চাওয়া পূরণে তারা যে আগেই কোথাও সাময়িক ঢুঁ মারেনি তাইবা কে জানে? <br />
<br />
মুর্খ অভিভাবকদের চোখে পড়েনা এখনকার ডিভোর্স রেট? চোখে পড়েনা সবখানে অশ্লীলতা দেখে? তার সন্তানটি কী ভাবছে মনে করেন তারা? বিয়ের বয়সটা ছাত্র জীবনে রাখলে কী সমস্যা হবে? দায়িত্ববোধ যার কখনই ছিলনা, তার কখনই হবেনা। ছেলের ও মেয়ের বাবা মা আরো কিছুদিন (বিয়ের পরেও) ভরণপোষনের দায়িত্ব নিলে কি সমস্যা? তাদের কি সন্তানের চরিত্রের চাইতে লোকে কি বলবে --সেটাই বড় বিষয়? এই প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা অনেক অল্পতেই শারীরিক ব্যাপারগুলো ভালো করে বুঝে ফেলে। দায়িত্ববোধের শিক্ষা দিয়ে সপাত্রে/সপাত্রীতে হস্তান্তর করে দিতে না পারলে ভুক্তভোগী পরিবারের হর্তাকর্তারাই হবে -- হচ্ছে হরদম। <br />
<br />
অথচ এসব ভাবার কেউ যেন নাই। একদিন পারিবারিক বন্ধনগুলো সব ধ্বংস হবে -- তখন হয়ত টের পাবে। প্রতিটি পরিবারের অবস্থা সঙ্গীন। প্রতিটি ছেলেমেয়েরই নৈতিক অবস্থা ভয়াবহ। এখানে এগিয়ে আসার কেউ নাই। আফসোস। সজ্ঞানে বিগত ৫-৭ বছর ধরে এসব দেখতে দেখতে আজকে প্রথম লেখলাম। না লিখে পারলামনা। এই চিন্তাগুলা প্রতিদিনই আমাকে আতঙ্কগ্রস্ত করে। <br />
<br />
<b>যারা সবকিছুকে এড়িয়ে চলতে পারে -- তারা এই লেখাকেও এড়াবে। আমি এই চিন্তাগুলোর বাস্তবতা খুব ভালো করে দেখছি। শত শত সমসাময়িক ছেলেমেয়েকে উদাহরণ হিসেবে জানি। হাজারখানেক ছেলেমেয়ের সার্কেলের ও কালচারাল ট্রেণ্ড জানি। অভিভাবকরা পদক্ষেপ না নিলে একটা ধ্বংস অবধারিত। যেহেতু সাংস্কৃতিক আগ্রাসনকে ঠেকানোর উপায় নেই -- পরিবারকে ঠেক দেয়াই এখনকার প্রথম কর্তব্য হওয়া উচিত। তাই বলছি, বিপদে যাবার আগে, সমাজকে ধ্বংস হতে দেবার আগে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে, নৈতিক শিক্ষা বলীয়ান করে সন্তানদের বিয়েকে এগিয়ে নিয়ে আসুন। ৩০-৩২ বয়েসে ছেলেদের, ২৫-৩০ বয়সে মেয়েদের বিয়ে না নিয়ে তাকে যথাক্রমে ২২-২৫ এবং ১৮-২২ বছরে নামিয়ে আনলে সামগ্রিক ক্ষতি নেই। অন্যথা? সাধু সাবধান!! </b><br />
<br />
<i>২০ ডিসেম্বর ২০১২, সকাল ০৮:৫৬</i><b> </b></div>
Anonymousnoreply@blogger.com5tag:blogger.com,1999:blog-7952958826059156073.post-54143631046867185062016-03-08T23:10:00.000+06:002015-04-04T15:17:46.311+06:00জীবনসঙ্গী খুঁজছেন কিন্তু পাচ্ছেন না? তাহলে আপনার জন্যেই এই লেখা<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<div class="gmail_default" style="display: inline; font-family: georgia,serif;">
চারপাশে সবাই বিভিন্ন দিবসের নামে সেজেগুজে বেড়াচ্ছে... প্রচুর ছেলে দেখা যায়, প্রচুর মেয়ে দেখা যায়। কিন্তু আপনার জীবনসঙ্গী হবার মতন কোন মানুষকে আপনি মনে মনে হলেও কোথাও খুঁজে পান না, তাইনা? হয়ত ভাবছেন, কোথায় পাবেন আপনার মানুষটাকে, কে খুঁজে দেবে আপনার উপযুক্ত জীবনসঙ্গী/জীবনসঙ্গিনী?<br />
<a name='more'></a></div>
<div class="gmail_default" style="display: inline; font-family: georgia,serif;">
<br />
<br />
* * * * * * * * * * * * * * * * * *<br />
<b>(১)</b><br />
<b><br /></b>
যেই আপনি আজ রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে আগামী সপ্তাহে কোন বেলায় কী খাবেন সেই বিষয়ে কোন ধারণা না থাকলেও টেনশন ছাড়াই ঘুমাতে যাচ্ছেন, কেননা আল্লাহ আপনার জন্য যেভাবেই হোক কোন না কোনভাবে উপায় বের করে দেন খাবারের... সেই আল্লাহই আপনার জন্য উত্তম সঙ্গী/সঙ্গিনী খুঁজে দিবেন। <br />
<br />
তিনি আপনাকে এসব নিয়ে চিন্তায় অস্থির হতে বলেছেন? আল্লাহ ছাড়া কে আছে মুমিনের উত্তম অভিভাবক? 'হাসবুনাল্লাহু ওয়া নি'মাল ওয়াকিল' বলে আপনি কি দোয়া করছেন না 'রাব্বানা হাবলানা মিন আযওয়াজিনা ওয়া যুররিয়্যাতিনা কুররাতা আ'ইয়ুনিউ ওয়া জা'আলনা লিল মুত্তাকিনা ইমামা'?<br />
<br />
তাহলে আপনি নিশ্চিত জেনে রাখুন, এই পৃথিবীর কোন এক কোণে আপনার জন্য একটা মানুষকে আল্লাহ বড় করছেন। আপনি যখন কান্নাকাটি করে অশ্রুভেজা প্রার্থনা করছেন যেন আল্লাহ তাকে সুরক্ষিত রাখেন, হেফাজত করেন এই সমাজের অশ্লীলতা/বেহায়াপনা থেকে, আল্লাহ তাকে যেন হতাশা থেকে দূরে রেখে ঈমানের পথে চলার তাওফিক দেন -- তিনিও কিন্তু আপনার জন্য বসে দোয়া করছেন আপনার মত করেই ইনশা আল্লাহ... <br />
<br />
যে কাজের সাধ্য ও ক্ষমতা আপনার নেই, তা করতে গিয়ে অকারণে বোকা হতে যাবেন না। আল্লাহর কাছে দোয়া করুন, আল্লাহর আদেশ-নিষেধ মেনে চলুন। সবসময় আশাবাদী থাকুন। মনে রাখবেন, আল্লাহ আপনার জীবনের প্রতিটি নিঃশ্বাস সম্পর্কে ওয়াকিবহাল আছেন। আর তিনি তার প্রিয় বান্দাদেরকে কখনই অকল্যাণ হতে দিবেন না, দেন না। শুধু একটা চেষ্টাই করবেন -- আল্লাহর আরো কাছে যাওয়া, আরো বেশি প্রিয়ভাজন হওয়া, ঈমানকে আরো বাড়িয়ে আরো বেশি ইবাদাত করা... আল্লাহই আপনার অভিভাবক হয়ে যাবেন তখন, ইনশা আল্লাহ... <br />
<br />
<b>* * * * ** ** * * ** * * * * * * * * *</b><br />
<b>(২) </b><br />
<br />
বিশ্বাস রাখুন, আপনার মতই অবস্থা এই সমাজে, এই পৃথিবীতে প্রায় সকল মুসলিমের। কিন্তু আপনার জীবনটা অন্যরকম, একটু বেশিই সাদামাটা... কারণ আপনি আল্লাহর নির্দেশ মানতে চেষ্টা করছেন। সেই আল্লাহ, যিনি এই বিশ্বজগতের স্রষ্টা, যিনি সবকিছুর মালিক, যিনি আপনাকে এই পৃথিবীতে আপনার বাবা-মায়ের কাছে পাঠিয়েছিলেন, আপনাকে বড় করেছেন নানা খাদ্য-বস্ত্র-আদর-যত্ন দিয়ে...</div>
<div style="font-family: georgia, serif;">
<br /></div>
<div style="font-family: georgia, serif;">
আপনার অসহায়ত্বটুকু, অন্তরের ফরিয়াদটুকু আল্লাহর কাছেই বলুন। তিনি সবকিছু জানেন, আপনার কান্নাজড়া দোয়া তার কাছে খুবই প্রিয়। তিনি আপনাকে কী ভীষণ ভালোবাসায় জড়িয়ে রেখেছেন তা আপনার হাত দু'টোর দিকে তাকিয়ে, আপনার চিন্তা করার ক্ষমতাযুক্ত সত্ত্বার দিকে তাকিয়ে উপলব্ধি করুন। এরপর আশ্বস্ত হোন, যিনি আপনাকে এত ভালোবাসায় তৈরি করেছেন, তিনি আপনার জন্য একজন মানুষকে নির্ধারণ করে রেখেছেন।</div>
<div style="font-family: georgia, serif;">
<br /></div>
<div style="font-family: georgia, serif;">
আল্লাহ যখন চাইবেন, ঠিক তখনই তিনি আপনার সামনে এসে হাজির হবেন। যেই মানুষটিকে তিনি আপনার জন্য নির্ধারণ করে রেখেছেন, তিনি আপনার সামনে ঠিক সঠিক সময়েই হাজির হবেন। আপনি সেই মানুষটার জন্য দোয়া করুন যেন আল্লাহ তাকে হেফাজত করেন, যেন আল্লাহর ভালোবাসার মানুষ তিনি হন, যেন আপনাকেও আল্লাহ ভালোবাসেন এবং আপনারা দু'জনেই আল্লাহকে ভালোবাসতে পারেন সবচেয়ে বেশি।</div>
<div style="font-family: georgia, serif;">
<br /></div>
<div style="font-family: georgia, serif;">
স্বপ্নের নায়িকা বা নায়ক সাজাতে গেলে কষ্ট পাবেন। আপনি আপনার জীবনকে আল্লাহর হাতে সোপর্দ করুন। আপনি দ্বীনের পথে চলুন, দোয়া করুন যেন তিনি আপনাকে তার প্রিয় বান্দা/বান্দীকে আপনার সামনে হাজির করেন। আল্লাহর কাছে দোয়া করুন যেন তিনি তার প্রিয়তমদের কারো সাথে আপনার জীবনকে জুড়িয়ে দেন যিনি দুনিয়া ও আখিরাতে আপনার সঙ্গী হবেন...</div>
<div style="font-family: georgia, serif;">
<br /></div>
<div style="font-family: georgia, serif;">
দোয়া করতে থাকুন যেন আল্লাহ আপনাকে সেই মানুষটিকেই হাজির করেন, যিনি আপনার জন্য হবেন কল্যাণময়, সেই মানুষটি আপনার সামনে আসা এবং জীবনের মূল্যবান অংশ হয়ে যাবার সময়টা যেন সহজ হয়। আল্লাহর হাতেই সমস্ত ক্ষমতা, তিনিই অন্তরসমূহের মালিক। তার কাছেই দোয়া করুন। তাহাজ্জুদে উঠে দোয়া করুন, নফল নামাজ পড়ে দোয়া করুন। আল্লাহ সহজ করে দিবেন, আল্লাহ আপনার জীবনের জন্য সবচেয়ে সুন্দর মানুষটিকেই মিলিয়ে দিবেন ইনশা আল্লাহ...<br />
<br />
<br />
* * * * * * * * * * * * * * * * * * * *<br />
<b>(৩) </b><br />
<b><br /></b>
ধরুন আপনি বিয়ে করার নিয়াত করেছেন অনেকদিন হলো। হয়ত এখন মোটামুটি প্রস্তুতও... তবু আপনার কিছুতেই কিছু আগাচ্ছে না... হয়ত ভাবতে শুরু করবেন আল্লাহ কেন আপনার দিকে মুখ তুলে তাকাচ্ছেন না...<br />
<br />
একটু থামুন ভাইয়া, শান্ত হোন আপু! গোটা জীবনে আল্লাহর লক্ষ কোটি নিয়ামাত উপভোগ করে এসেছেন আপনি, এমনকি, আল্লাহ আপনাকে দিচ্ছেন বা দিচ্ছেন না টাইপের যে ভাবনাটাতে যে আল্লাহর স্মরণ আছে, এটাও এই কোটি মানুষের পৃথিবীতে খুব অল্প কিছু মানুষের জীবনে থাকে। কিন্তু আপনার একটু শুধরে ভাবতে হবে। নিশ্চিত থাকুন, আল্লাহ আপনার জন্য কল্যাণকর এবং সর্বোৎকৃষ্ট অবস্থাটাই এখন দিয়েছেন। আপনি এখনো সুস্থ, আপনি এখনো চিন্তা করতে পারছেন, আপনি এখনো নিঃশ্বাস নিতে পারছেন। আপনি হয়ত এই নেয়ামতকে অস্বীকার করা অবস্থাতেই আল্লাহর ডাকে চলে যেতে পারেন। একটা শুধু বিয়ে না হওয়ায় কি আপনি সেই ভয়াবহ অন্যায়কারী হিসেবে আল্লাহর কাছে যেতে প্রস্তুত? আল্লাহ মাফ করুন যেন অমনটা আমাদের কারো জীবনে না হয়...<br />
<br />
এবার নিজেকে প্রশ্ন করুন তো, আপনি কি আল্লাহর কাছে নিজেকে পুরোপুরি সঁপেছেন? আপনি কি আপনার উপরে আবশ্যক ইবাদাতগুলো পালন করছেন? যে আল্লাহ আপনাকে দান করবেন, তার সকল আদেশ-নিষেধ মানার আপ্রাণ চেষ্টা করছেন কি? আল্লাহ হয়ত চাচ্ছেন আপনি নিজেকে আরো শুধরে নিন এবং নিজেকে যোগ্য করুন তার প্রিয় কোন বান্দার উত্তম জীবনসঙ্গী বা জীবনসঙ্গিনী হয়ে নিতে... আল্লাহ হয়ত চাচ্ছেন আপনি শেষ রাতে উঠে তাহাজ্জুদে তার কাছে কান্নাকাটি করুন একজন এমন সঙ্গীর জন্য যাকে তিনি ভালোবাসেন, যাকে আপনি ভালোবাসলেও আল্লাহ আপনাকে ভালোবাসবেন। আল্লাহ হয়ত চাচ্ছেন, আপনি আরো বেশি সাদাকাহ করুন। আল্লাহ হয়ত চাইছেন আপনি ফরজ ইবাদাতে একদম দৃঢ় হয়ে যান এবং সুন্নাহগুলোর মাধ্যমে জীবনকে সাজিয়ে ফেলুন। আল্লাহ হয়ত চাইছেন আপনার চোখ জুড়ে আসা অশ্রুগুলো আরো বেশি আল্লাহর কাছে চাইতে থাকা অবস্থায় ঝরুক। আল্লাহ আপনার অশ্রুগুলোকে হয়ত ভালোবাসেন।<br />
<br />
এমন অনেক নিদর্শন হয়ত আল্লাহ আপনার এই বিলম্বের মাঝে নিহিত রেখেছেন। আপনি কি আপনার ঈন্দ্রিয়গুলোকে সচেতন রেখেছেন আল্লাহর নিয়ামাত আর রাহমাতকে বুঝতে চেয়ে? আপনি কি আল্লাহর আরো শোকরগুজার বান্দা হবেন না যে শিক্ষা আমরা পাই রাহমাতাল্লিল আলামীন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জীবন থেকে? দু'রাকাত সালাত আদায় করে আল্লাহর কাছে কাঁদতে পারেন এই কথাগুলো ভেবে, হে আল্লাহ! আপনার জন্যই আমার জীবন, আমার মরণ, আমার এই সালাত, এই ত্যাগসমূহ... আপনি আমাকে দয়া করুন, আপনি তো রাহমান, রাহীম। আপনি আমাকে একজন মানুষকে ভিক্ষা দিন যাকে আপনি ভালোবাসেন। আমি তো কেবল আপনার কাছেই দোয়া করি এবং আপনার কাছেই আশ্রয় চাই। নিশ্চয়ই আপনিই কেবল দাতা, আপনি জানেন যা প্রকাশ্য এবং গায়েব। আপনি ছাড়া আর কেউ নেই আমাদের সাহায্যকারী।</div>
</div>
Anonymousnoreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7952958826059156073.post-7276946101875608172015-11-09T12:10:00.000+06:002015-08-06T14:08:09.180+06:00বাংলাদেশের মুসলিম সমাজে নারীর প্রতি অন্যায় আচরণ কি কাল্পনিক কথাবার্তা? ভিন্নচোখে দেখা কিছু মুক্ত আলোচনা<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<div class="gmail_default">
<div class="gmail_default">
<span style="font-family: georgia, serif;">নারী নিয়ে যত কথা হয় সমাজে, পত্রিকায়, টক-শো, সেমিনারে যত লোকের, যতটা সময়ে -- তার ক্বচিৎ-কদাচিত যদি পরিবর্তনের প্রতি সত্যিকারের কাজ করত তাহলে সত্যিই অনেককিছু বদলে যেত বলে আমার ধারণা। বিষয়টা স্পর্শকাতর, সত্যিকারের সমস্যার। মুসলিম সমাজের নারীর অবস্থান নিয়ে সম্ভবত পাশ্চাত্য বা বাংলাদেশি ইসলামবিদ্বেষী সেক্যুলাররা বা অমুসলিমরা যত কথা বলেছে -- খুব কমই এই সমাজের ভিতরের মানুষ থেকে এসেছে।</span><br />
<a name='more'></a><span style="font-family: georgia, serif;"><br />কথা অনেক হয়। মুসলিম নারীরা যখন কিছু লেখালেখি শিখে তারাও বলে। অধিকাংশ সময় ভুক্তভোগী হওয়ায় ভাষার নখর মোটামুটি পুরুষবিদ্বেষ পর্যায়ে যায়। লেখার আগাগোড়া পড়ার পরে আমার অনেকবার মনে হয়েছে -- এই মহিলা না লিখতে বসলেই বরং নারীর উপকার হত। মুসলিম পরিচয়ের আদর্শিক অনুভূতি থেকে এবং সমস্যা বুঝে তার সমাধানে "পুরুষবিদ্বেষ" অবস্থান থেকে বেরিয়ে লিখতে দেখিনি অনেক উচ্চশিক্ষিত মুসলিম ফেমিনিস্টদেরকেও। কারণ আমি নিজেই বুঝি, পুরুষসত্ত্বার প্রতি আক্রমণ করে সমস্যা দূরীকরণে পুরুষের সাহায্য কীভাবে পাবে নারীরা? সমাজে/পৃথিবীতে অর্ধেকখানি পুরুষ। নারীর সমস্যাগুলোর অনেকটাই পুরুষ থেকেই সৃষ্টি।</span><br />
<span style="font-family: georgia, serif;"><br />ফেমিনিজম তথা নারীবাদী আইডিয়াটাও একটা মজার ব্যাপার। সেটা গড়েই উঠেছে পুরুষদের বিরুদ্ধে একটি "রি-অ্যাকটিভ" অ্যাপ্রোচ হিসেবে। মোটা দাগে মোটামুটি গোটা পুরুষদের বিরুদ্ধেই বিদ্বেষপ্রসূত যে চিন্তাভাবনা গড়ে ওঠে, তাতে কীইবা আর কল্যাণ থাকবে। এটা তো জানা কথা যে, প্রো-অ্যাকটিভ অ্যাপ্রোচেই কল্যাণ থাকে, রি-অ্যাকটিভ কাজে থাকে না। তাই খুব মোটা দাগেই এই নারীবাদীতার অসারতা টের পাওয়া যায়। আজ পর্যন্ত এই ফেমিনিস্ট অ্যাপ্রোচ উল্লেখযোগ্য কোন সফলতা আনতে পেরেছে বলে বোঝা যায় না সমাজের দিকে তাকিয়ে।<br /><br />যাহোক, সমস্যা চিহ্নিতকরণ ও সমাধান রাতারাতি হবে না, হবার প্রশ্নই উঠে না। গোটা ব্যাপারটা শত শত বছর ধরে গড়ে উঠেছে। মুসলিম সমাজে নারীর সবকিছু নিয়ে কথা বলেছে বাইরের মানুষরাই বেশি। সেকথা একটু আগেই বলেছি। নিঃসন্দেহে ভুক্তভোগী মানসিকতা থেকে বেরিয়ে এসে নারীদেরকে শিক্ষিত হবার জন্য চেষ্টা করা উচিৎ ছিলো। বিষয়টা কঠিন, বিষয়টা আসলেই কঠিন। কিন্তু এটাই পথ। এর তুলনাটা অনেকটা এমন যে, একটা বিশাল অট্টালিকা হবার জন্য হয়ত কোন জায়গা বিরান পড়ে ছিলো। কারো অনেক প্রয়োজন ছিলো একটা বাড়ি, কিন্তু তার সেখানে থাকা হলো না। তিনি যদি এটাকে গড়ে না তোলেন সময় নিয়ে (যে সময়ে তিনি সেখানে আরাম করে থাকতে পারতেন) তাহলে পরের প্রজন্মও আর সেখানে থাকতে পারবে না। তারা আরো বড় সমস্যায় পড়বে।<br /><br />আমার কাছে বেশ কিছু বিষয়কে সমস্যার মনে হয়েছে। সেগুলোর কারণগুলোও ভিন্ন, সমাধানও অনেক আলোচনাসাপেক্ষ। তার মাঝে কিছু সমস্যা হলো --<br /><br />প্রথমত, সমাজে এখনো অনেক মেয়েই মনে করে বিয়ের পরে তো অশান্তি আর কষ্টে সব ভরপুর, এখন যদি একটু মজা করে না নিই তাহলে আর লাইফে কখনো আনন্দ হবে না। তাই তারা বেশ ছেলেবন্ধুর দলেও যায়, এলোমেলো অজস্র কাজ করে যা হয়ত মজার নামে। কখনই সেগুলো ভবিষ্যত জীবনে শান্তি আনে না, কেননা এইসব করতে গিয়ে অজস্র জটিলতায় একটা মেয়ের জীবন আটকে যায়। অনেক ঘটনা হয়, রটনা হয় -- এগুলো থেকে কেউ বের হতে পারে না। এর পেছনে পুরুষের ভূমিকা আছে। বড় ভূমিকা। তা হলো, পুরুষদের মাঝে নারীর প্রতি সম্মানের বিশাল অভাব। এটা মূলত পারিবারিক ক্ষেত্রেই শুরু হয়, সামাজিকীকরণের সময়ে তা প্রলম্বিত হয়।<br /><br />বেশিরভাগ ছেলে সারাজীবন বড় হয় নারীকে কেবল ভোগ করার, আনন্দ করার উপযোগী অংশ হিসেবে। ফ্রেন্ড সার্কেলে কমবেশি সবাই নারীর শরীর নিয়ে আলাপ করে, আলাপ করে সৌন্দর্য নিয়ে, "মাল" টাইপের শব্দ দিয়ে সম্বোধন করে অবলীলায়। এমনটাই কালচার ম্যাক্সিমাম ফ্রেন্ড সার্কেলের। পুঁজিবাদী সমাজব্যবস্থায় নারীর পোশাক স্বল্প করে করে প্রতিটি বিলবোর্ডে আর কমার্শিয়ালে তাকে পণ্যে রূপান্তরিত করা হয়েছে। অথচ নারীরা মা, নারীরা বোন, নারীরা স্ত্রীর মতন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ও দায়িত্ব পালন করছেন -- তার স্বীকৃতি ও প্রচারণা ও সচেতনতা খুব কমই প্রজন্মের পুরুষ তথা নারীদেরও উপলব্ধিতে পড়ে। নব্য প্রজন্মের নারীরাও অপর নারীদের গালাগালি করে অশ্রাব্য ভাষায় -- নষ্ট সংস্কৃতির পুরুষদের সমান স্মার্ট হবার দাসত্ব মনোভাব তাদের টেনে কোথায় নিয়ে গেছে। সেই ভোগবাদী সমাজে ছেলেরা নারীর যে সম্মান, মানসিক প্রয়োজন, অধিকারগুলো প্রতি খেয়াল রাখা যে একটা বিষয় সে বিষয়ে তার তেমন জানাই হয় না, ভেবেও দেখেনা। এই শিক্ষার অভাবের পেছনে যেমন তার বাবা নামের পুরুষটি কাজ করেনি, মা নামের নারীটিরও ভূমিকা থাকে না।<br /><br />এক বা একাধিক প্রজন্মে কিছু নারীকে এগিয়ে আসতেই হবে যারা বর্তমানের সাফারিং তথা যন্ত্রণাগুলোকে সহ্য করবেন এবং শিক্ষা দিয়ে, প্রচুর পরিমাণে কাজ করে আরো নতুন অনেক খোঁটা-বাঁকা কথা ও যন্ত্রণা সহ্য করে হলেও সমাজে নারীর প্রতি মানসিকতার উন্নয়নে কাজ করবেন। এখানে মুখে কথার চাইতে কাজের প্রয়োজনীয়তা অত্যাধিক।<br /><br />দ্বিতীয়ত, আমার কাছে মনে হয়েছে, একটা সমাজে নীতিহীনতা, কদর্যতা আর অন্যায় ও অশ্লীলতার যতই প্রসার হবে -- মূলত নারীর যন্ত্রণা ও অত্যাচার ক্রমাগত বাড়বে। নিঃসন্দেহে সমাজের সবাইই একটি খারাপ পরিস্থিতির ভুক্তভোগী হবে। কিন্তু সেটা পুরুষের তুলনায় নারীর জন্য সীমাহীন যন্ত্রণাদায়ক ও খারাপ হয়। অন্তত সেটা মাতৃত্বসুলভ অনুভূতি আর মনের কারণেই হোক বা শারীরিক ও মানসিক কোমলতার কারণেই হোক।<br /><br />কল্যাণ যারা বুঝেন, সেসব চিন্তাবিদগণ নারীদের প্রচন্ড অনুপ্রেরণা দেন এগিয়ে আসার জন্য। সন্তান হয়েছে, শারীরিকভাবে হয়ত কিছুটা দুর্বল ও পারিবারিক জটিলতাও তৈরি হয়েছে -- কিন্তু পড়াশোনায় এগিয়ে আসা উচিৎ। মুসলিম নারীরা স্বেচ্ছাচারী হতে পারে না। স্বেচ্ছাচারিতা মুসলিমের কোন চরিত্র নয়। কিন্তু জটিলতা নিরসনে নারীদেরই কথা বলতে হবে এবং তাদের এই সমাজের অংশ হতে হবে। এই সমাজের মুসলিম মানসিকতাকে তাদের বুঝতে হবে।<br /><br />তৃতীয়ত, জোর করে মেয়েদের বিয়ে দেয়াটা কখনই ইসলামিক নয়। এই বিষয়টা বাংলাদেশের সমাজে মাত্রাতিরিক্ত রকমের প্রসার পেয়েছে। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স করা মেয়ে, ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার মেয়েরাও মা-বাবার জোরাজুরিতে বিয়ে করতে বাধ্য হয় এমন কাউকে যাদের প্রতি তার বিশ্বাস ও সম্মান তৈরি হয়নি, মুগ্ধতাও না। একটা যথেষ্ট বড় হয়ে যাওয়া (বা কম বয়স হলে তো কথাই নেই) মেয়েকে জোর করে বিয়ে দেয়ার এই কালচারের কারণে সেই মেয়েটির অনাগত জীবনকে নিঃসন্দেহে ভোগান্তির জীবন হিসেবে শুরু করে দেয়া হয়।<br /><br />চতুর্থত, নারীর গায়ে হাত তোলার একটি সংস্কৃতি অজস্র মুসলিম পরিবারেও বিদ্যমান (ধর্মীয় আদর্শবিহীন পরিবারে তো আছেই) এবং এটা অস্বীকার করার উপায় নেই। এই বিষয় অস্বীকার করে অনেকে ধামাচাপা দিতে চান বা বিভিন্ন দলীল এনে এটাকে নির্লজ্জভাবে চালিয়ে দিতে চান। অথচ সচরাচর পরিবারগুলোতে অবলীলায় মেয়েদের গায়ে হাত তোলা হয়, বাপের বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়ার ভয় দেখানো হয়। একটি সংসার কখনই একটি পুরুষের একার নয়, আল্লাহর কাছে প্রতিটা মানুষের অবস্থান একসমান। সে এই কাজটি করার অধিকার রাখে না, সেটা না বুঝতে চাওয়ার জন্য আল্লাহভীতিহীন অহংসম্পন্ন মুসলিম হতে হয় কেবল।<br /><br />পঞ্চমত, এখনো বাংলাদেশের মুসলিম সমাজে উত্তরাধিকার ও সম্পত্তি ভাগাভাগিতে আল্লাহভীতির চিহ্নও নাই। সরকার আধা-আধা টাইপের অ-ইসলামিক নীতি চাপিয়ে কেবল ইসলামকেই অবজ্ঞা করেছে যা মূলত প্রকৃত পরিস্থিতিকে ঘোলাটে করেছে। পরিবারে ভাইয়েরা যখন বোনকে অবজ্ঞা ও অবহেলা করে সম্পদের বন্টন থেকে বঞ্চিত করে -- সেখানে আইনের ঝামেলা করে সম্পর্কটাকে থানা-পুলিশ-সালিশে সমাধান হয় না। এখানে অনেক বেশি দরকার ছিল ইমাম-মুফতি এবং মুসলিম মনের মাঝে পরিবর্তন।<br /><br />সমস্যাগুলো দেখে একটা বিষয় আমার মাঝে বারবার মনে হয়েছে। এখানে মুসলিম মনের পরিবর্তনই আবশ্যক। নারীরা ভুক্তভোগী মন আর কষ্ট নিয়ে বসে থাকলে কখনই সমাধান আসবে না -- বরং নিজেদেরকে এগিয়ে আসতে হবে ইসলামের শিক্ষায়। নারীবাদিতার তীর্যক পুরুষবিদ্বেষ মানসিকতা থেকে নয় বরং ইসলামের আদল তথা ন্যায় বিচার, ইহসান, সৎব্যবহার, সঠিক অধিকারকে নিশ্চিত করার মানসিকতা থেকেই এইসব ইসলামিক বিষয়ে এগিয়ে আসতে হবে নারীদেরকে।<br /><br />ভুগতে ভুগতে মা-খালা, নানী-দাদীরা চোখের পানি ফেলেই জীবন পেরিয়ে গেছেন। এমনও নয় যে তাদের সঙ্গী পুরুষেরাও অনেক সুখে থেকেছেন। হয়ত বিভিন্ন মারপ্যাঁচে পড়ে কষ্ট এবং যন্ত্রণা নারীদেরকেই আষ্টেপৃষ্ঠে বেঁধেছে। এখন যারা যে বয়সেই আছেন, এগিয়ে আসা উচিৎ জ্ঞানার্জনে। শিক্ষার্জনের বয়স নেই। অনেক মহিলা দেখেছি যারা ৩০/৩৫ বছরে সন্তান কোলে নিয়ে পড়েছেন। এমন ঘটনা আশেপাশেই আছে। তবে, পরিবর্তনে এগিয়ে না আসলে কিছু বদলাবে না। আল্লাহর পৃথিবীতে, আল্লাহর সৃষ্টি মানুষদের মাঝে আদল, ইহসান প্রতিষ্ঠা করতে নারীর ভূমিকা যেমন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি পুরুষেরও। নইলে, কিয়ামাতের দিন জবাবদিহিতা যে পুরুষ বা নারী কারো জন্যই সহজ হবে না , সেই বিষয়ে হলফ করে বলে দেয়া যায়।</span><br />
<div>
<br /></div>
</div>
<div class="gmail_default">
</div>
<div class="gmail_default">
<span style="font-family: georgia, serif;">লেখার অনুপ্রেরণা :: </span><span style="font-family: georgia,serif;">নারীর সমস্যগুলো -- তারিক রমাদান :: </span><span style="font-family: georgia,serif;"><a href="http://tariqramadan.tumblr.com/post/22467612688/the-issue-of-women">http://tariqramadan.tumblr.com/post/22467612688/the-issue-of-women</a> </span><br />
<br />
<span style="font-family: georgia,serif;">[০৯ নভেম্বর, ২০১৩] </span></div>
</div>
</div>
Anonymousnoreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7952958826059156073.post-77608791916766803882015-08-28T03:04:00.000+06:002015-05-26T12:22:02.722+06:00ভালোবাসার মোড়কে কামতাড়নার এই শহর<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
আজকাল বাজারে ভালোবাসার ব্যাপক সংকট মনে হয়, নাকি পণ্য হিসেবে এর কাটতি বেশি কে জানে। ফেসবুকে ঢুকেই দেখি একটা স্পন্সর করা অ্যাড একটা পেইজের -- ভালোবাসি তাই ভালোবেসে যাই। নিম্নমানের গ্রাফিকসের একটা ছবি, তাতে LOVE লেখা। পেইজে ইংরেজি বাংলা নামকরণ এবং বন্ধনির ব্যবহারে ভুল দেখেও জ্ঞানের দৈন্যতা বোঝা যায় সুষ্পষ্ট। এই নিম্নরুচির বিজ্ঞাপণওয়ালাদের কথা বাদ দিলেও দীর্ঘদিন যাবত 'উচ্চমানের রুচিওয়ালাদের' টাকা দিয়ে চালানো AIRTEL কর্তৃক বিজ্ঞাপন 'আপনি কি মনে করে বন্ধু ছাড়া লাইফ ইম্পসিবল? তাহলে চলে আসুন আমাদের সাথে' টাইপের বিশ্রি বিজ্ঞাপণেও ভালোবাসা/বন্ধুত্ব সংকট প্রকৃষ্ট।<br />
<a name='more'></a><br />
<br />
<div class="separator" style="clear: both; text-align: center;">
<a href="http://3.bp.blogspot.com/-WPrcNtmEk-o/Unnv0rxwrTI/AAAAAAAAALU/vDH_6ZRfnuk/s1600/1377636353.jpg" imageanchor="1" style="margin-left: 1em; margin-right: 1em;"><img border="0" height="206" src="http://3.bp.blogspot.com/-WPrcNtmEk-o/Unnv0rxwrTI/AAAAAAAAALU/vDH_6ZRfnuk/s400/1377636353.jpg" width="400" /></a></div>
<br />
<br />
শহরের সবখানেই ভালোবাসা। এই পণ্য বিক্রির চেষ্টা যাদের জন্য হয় তাতে বাচ্চারা থাকে, বৃদ্ধ-বৃদ্ধারাও। এসব ভালোবাসার নামের রং-ঢং ক্ষণিকেই কামাসক্তিতে পরিণণত হয়। একসময় সবখানে কেবল কামাসক্তি থাকে, ভালোবাসা পড়ে থাকে শব্দের খোলসে। নগ্ন বিলবোর্ডগুলো বেশ চটকদার। আগে দু'একটা ছিলো। ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড , আড়ং ইত্যাদি আগে চোখে পড়তো। নির্লজ্জ কি আর সবাই হয়। এখন ক্রেডিট কার্ডের বিজ্ঞাপনেও বিশাল বিলবোর্ডে রেস্টুরেন্ট টেবিলে নগ্ন ধবধবে বাহুর পাতলা পোশাকের তরুণীর ওপাশে স্যুটেড পুরুষ থাকে। এখানেও ভালোবাসার মোড়কে কামোত্তেজনাতে সুড়সুড়ি দেয়া। ক্রেডিট কার্ড কই থাকলো? হাজার হাজার দোকানের সাইনবোর্ডে আন্তর্জাতিক পানীয়ের বিজ্ঞাপনে স্বল্পবসন টপস পরা বলিউডি নায়িকার সাদা নির্লোম বগল উন্মোচিত। পানীয় খুবই ক্ষুদ্র বিষয়, বিজ্ঞাপনের মূল উদ্দেশ্য, যেভাবেই হোক কাম জাগিয়ে পানীয় বিক্রি করা।<br />
<br />
<br />
ক'দিন আগে সারা ঢাকাতে দেখলাম নাবিলা নামের বুটিক শপের বিজ্ঞাপন। প্রায় একই চেহারার একটা বেশ্যার অতি-নির্লজ্জ শরীর প্রদর্শনী থেকে বাঁচার সুযোগ নেই পথযাত্রীদের। জ্যামে আটকে থাকা শাহবাগ, শেরাটনের কাছে মানুষেরা দেহজীবীদের শরীরের নগ্নতা দেখতে বাধ্য। বীভৎস এই শহরের এই নোংরামি।<br />
<br />
ভন্ড কামাসক্ত মিথ্যুকরা একে 'আর্ট' বলে থাকে। সহস্র বছর ধরে একেশ্বরবাদী ছাড়া সকলেই নগ্নতার উপরে ভিত্তি করে তাদের সংস্কৃতিকে তৈরি করেছে। মূলত কাম তাদের মূল উপজীব্য, এই শহরেও এমন কীটপতঙ্গরা বাড়ছে। আগুনে ঝাঁপ দিতে অস্থির নরকের কীটদের কাছে এ আর অসম্ভব কী?<br />
<br />
আমার এই শরে সেই দিনের ভ্রমণের কথা আমি নিশ্চিত জানি, আমার অন্তরের পবিত্রতার প্রতি আন্তরিক প্রচেষ্টাটুকুও জানি। এই শহরে কয়টা মানুষের অন্তর পবিত্র থাকবে এইসব বিজ্ঞাপনের নখরের যন্ত্রণায়, আমি সন্দিগ্ধ। শয়তানের চ্যালারা এইটা পারে, মানুষের অন্তরকে কলুষ করতে। কলুষ অন্তরের মানুষ সুন্দর জীবনের প্রচেষ্টায় হাল ছেড়ে দিবে। তার কাছ থেকে আরো বেশি বেশি ভুল হবে। ক্ষণিকের অপবিত্রতা তার অন্তরকে অনুশোচনায় দগ্ধ করবে। এভাবেই শেষ হবে একটা সুন্দর মানুষের/পরিবারের সুন্দর পবিত্রতার গল্প।<br />
<br />
এদিকে আজকাল পর্নগ্রাফি কত শত-সহস্র পরিবার ধ্বংস করছে সেইটা চিন্তা করলেও আতঙ্কে নীল হয়ে যাই। সাধারণ শারীরিক চাহিদার পূরণের বিষয়টাকে ঘাঁটাতে ঘাঁটাতে নষ্ট করে কত আক্রমণাত্মক, পাশবিক আর অরূচিকর বিষয়ের উপস্থাপনা করছে ওরা। অনলাইন জগতের সবচাইতে বেশি সংখ্যক সাইট তাদেরই এবং এই ইন্ডাস্ট্রির অর্থ উপার্জনের বিশাল মাত্রার কারণেই তাদের আগ্রহও বেশি। কারণ, মানুষ সহজেই এতে আকৃষ্ট হয়।<br />
<br />
ভয়ানক নেশা পর্ণোগ্রাফি। দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর হলগুলোতে নেটওয়ার্কে হাত বাড়ালেই পর্ণমুভি পাওয়া যায়। অজস্র দোকানে, ফুটপাতে পর্নের ডিভিডি। উঠতি বয়েসি থেকে মধ্যবয়সী ছেলেরা (এখন মেয়েরা তো বটেই) নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে প্রায় প্রতিদিন মাঝরাতে মনিটরে পর্ণ দেখতে দেখতে। এই নেশায় বিয়ের আগেই তারা খুঁজে নেয় শরীর ভোগের কোন মানুষ। বিয়ের পরেও স্ত্রীকে ভোগ করতে চায় পশুর মতন। সুখ তিরোহিত হয়। বহু পরিবারের ভাঙ্গনের কারণ এই পর্ণগ্রাফি। বহু সরলা স্ত্রীরা হতভম্ব হয়ে যান স্বামীর সুশ্রী চেহারার নিচে কদর্যতা দেখে। বেশিরভাগ মানুষ এই নেশা ছাড়তে পারে না জীবনের শেষ বয়সেও।<br />
<br />
কে কার খোঁজ রাখে? নীতি হারিয়ে যাওয়া, শুধুমাত্র দুনিয়ার জীবনকে যেভাবে পারা যায় ভোগ করতে চাওয়া মানুষদের কাছে তো আদর্শিক জীব নেই। ফলে ঘুরে ফিরে দায়ভার তাদেরই কাঁধে, যারা গড়তে চায়, যারা ধ্বংস থেকে রক্ষা করতে চায় সম্পর্কগুলোকে, পরিবার ও সমাজকে। হতাশা ছাড়া কিছু হয়না। একমাত্র স্বান্ত্বনা -- যিনি হিসেব করবেন, তিনি সূক্ষ্ম এবং শ্রেষ্ঠতম ন্যায়বিচারক। তিনি নিশ্চয়ই পৃথিবীর জীবনে কষ্ট করা মানুষগুলোকে ফেলে দিবেন না। তার ভান্ডারের তো সীমা পরিসীমা নাই।<br />
<br />
ভালোবাসার মোড়কে কাম বিক্রির এই বাজারে খদ্দের প্রায় সবাই। তাই, আদর্শিক আর বৈষয়িক যেই কাজই করুন -- মনে রাখবেন, আপনার চারপাশের পরিবেশ বিষাক্ত। দিগভ্রান্ত মানুষদেরকে শয়তানের চ্যালারা কোথায় নিয়ে যাচ্ছে তারা জানে না। তাই সেই হিসেব মাথায় রেখে কাজ না করলে আদর্শবাদীদের মুখের কথা লোকেদের কানেই রবে, অন্তরে ঢুকবে না। সুন্দর সমাজের জন্য কাজ করতে হবে অনেক। আন্তরিক কাজ, প্রার্থনার সাথে কাজ প্রতিটি দিন। <br />
<br />
read more : পর্নোগ্রাফি নেশায় আক্রান্তদের মুক্তির জন্য কিছু সহজ টিপস <a href="http://thesafwanism.blogspot.com/2013/08/blog-post_5649.html">http://thesafwanism.blogspot.com/2013/08/blog-post_5649.html</a></div>
Anonymousnoreply@blogger.com3tag:blogger.com,1999:blog-7952958826059156073.post-82653315227421702882015-04-08T22:33:00.000+06:002015-04-08T19:18:38.808+06:00বিয়ের আগে যেসব বই পড়া উচিত<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<div class="gmail_default" style="display: inline;">
<div style="font-family: georgia, serif;">
অনেকবার শুনেছি 'স্বামী-স্ত্রী অন্তরঙ্গতা' কী সেই বিষয়ে কৌতুহল মেটানোর নাম করে অনেক বেয়াদব, নির্লজ্জ, পাপাচারী লোক বাজারের অশ্লীল ও বেহায়াপনার উপকরণ কামসূত্র, যৌনদ্দীপক গল্প/উপন্যাস, নোংরা চটি বই/ওয়েবসাইট, পর্নোগ্রাফি মুভি ক্লিপস দেখার বিষয়কে স্বাভাবিক করার চেষ্টা করেন। চিন্তা করে দেখুন, পুরো বিষয়টাই 'স্বাভাবিক' হিসেবে ধরা কোন সুস্থ লোকের পক্ষে সম্ভবই না। যেসব লোক এইসব নির্লজ্জতা, ব্যভিচার, অশ্লীলতা ও বেহায়াপনাকে সমাজে সহজ করতে কাজ করেছেন/করছেন আল্লাহ তাদেরকে ভুল বুঝে ফিরে আসার তাওফিক দিন। নয়ত আল্লাহ তাদেরকে স্তব্ধ করে দিন যেন এই সমাজকে আর বেশি কলুষিত করতে না পারে।</div>
<div style="font-family: georgia, serif;">
<br />
<a name='more'></a><br /></div>
<div style="font-family: georgia, serif;">
তারপরেও অনেক মুসলিমের কাছে প্রশ্ন হয়ে দাঁড়ায়, তাহলে আমরা কেমন করে জানবো। আমাদের জেনে রাখা উচিত, আল্লাহ ও তার রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এমন কোন কিছুই রাখেননি যা পরিষ্কারভাবে আমাদেরকে পথ দেখায় না। সেইরকম করেই বিয়ে এবং বিবাহিত জীবনের প্রতিটি বিষয়ই ইসলামে পরিষ্কার উদ্ধৃত আছে। তবে, ইসলাম মার্জিত হতে শেখায়, পরিশীলিত চিন্তা ও ভাষা ব্যবহার করে সংযত ও শুদ্ধ হতে শেখায়।</div>
<div style="font-family: georgia, serif;">
<br /></div>
<div style="font-family: georgia, serif;">
পারিবারিক জীবন নিয়ে কিছু বই আছে, সেগুলো পড়ে নিতে পারেন যারা অতি-উৎসাহী। বাংলা ভাষায় রচিত বই -</div>
<div style="font-family: georgia, serif;">
<br /></div>
<div style="font-family: georgia, serif;">
১) পরিবার ও পারিবারিক জীবন'-- লিখেছেন, মাওলানা আবদুর রহীম (রাহিমাহুল্লাহ) যা বাজারে সুপ্রচলিত। আগ্রহীরা কিনে ফেলবেন ইনশা আল্লাহ।</div>
<div style="font-family: georgia, serif;">
২) বিয়ে: স্বপ্ন থেকে অষ্টপ্রহর - মির্জা ইয়াওয়ার বেগ; প্রকাশক: সিয়ান পাবলিকেশন।</div>
<div style="font-family: georgia, serif;">
<br /></div>
<div style="font-family: georgia, serif;">
এছাড়া ইংরেজিতে কিছু বই আছে যা নিয়ে আপনি বিয়ে ও বিবাহিত জীবন সম্পর্কে জানতে পারবেন:</div>
<div style="font-family: georgia, serif;">
<br /></div>
<div style="font-family: georgia, serif;">
১) বিয়ের ফিকহ সম্পর্কে জানতে পড়ুন, Garments of Love and Mercy : লিখেছেন ড বিলাল ফিলিপস। <a href="https://app.box.com/s/b251f12a934028a893e1">https://app.box.com/s/b251f12a934028a893e1</a></div>
<div style="font-family: georgia, serif;">
<br /></div>
<div style="font-family: georgia, serif;">
২) পারিবারিক জীবনের জন্য ৪০টি টিপস নিয়ে বই, The Muslim Home : 40 Recommendations, শাইখ সালিহ আল মুনাজ্জিদ <a href="https://app.box.com/s/65u4lp0yu3pcjtlbxdpk">https://app.box.com/s/65u4lp0yu3pcjtlbxdpk</a></div>
<div style="font-family: georgia, serif;">
<br /></div>
<div style="font-family: georgia, serif;">
৩) বিখ্যাত ওয়েবসাইট Kalamullah.com থেকে পড়তে পারেন শাইখ নাসিরুদ্দিন আল-আলবানির লেখা বই . Etiquettes of Marriage and Wedding - <a href="http://www.kalamullah.com/etiquettes-marriage.html">http://www.kalamullah.com/etiquettes-marriage.html</a></div>
<div style="font-family: georgia, serif;">
<br /></div>
<div style="font-family: georgia, serif;">
৪) বর-বধূর বিষয়গুলো এবং পারিবারিক জীবন সম্পর্কে জানতে জনপ্রিয় ওয়েবসাইট IslamQA.info কর্তৃক রেফারেন্স দেয়া বই The Bride's Boon লিখেছেন মাহমুদ এম আল-ইস্তানবুলি : <a href="https://app.box.com/s/ytsg0hd88x7t5wsdc161">https://app.box.com/s/ytsg0hd88x7t5wsdc161</a></div>
<div style="font-family: georgia, serif;">
<br /></div>
<div style="font-family: georgia, serif;">
৫) বিখ্যাত ওয়েবসাইট OnIslam.net কর্তৃক রেফার করা বই The Muslim Marriage Guide লিখেছেন রুকাইয়া ওয়ারিস মাকসুদ <a href="https://app.box.com/s/xlxnmwzbd2esx08gdoeo">https://app.box.com/s/xlxnmwzbd2esx08gdoeo</a></div>
<div style="font-family: georgia, serif;">
<br /></div>
<div style="font-family: georgia, serif;">
৬) ড ইয়াসির ক্বাদি রচিত ছোট্ট একটি বই : Like A Garment: <a href="https://app.box.com/s/zstopn0t2xvma4fh4dds">https://app.box.com/s/zstopn0t2xvma4fh4dds</a></div>
<div style="font-family: georgia, serif;">
<br /></div>
<div style="font-family: georgia, serif;">
<br /></div>
<div style="font-family: georgia, serif;">
যারা খুব শীঘ্রই বিয়ে করছেন না, তারা ইংরেজি বইগুলোর ১ এবং ২ পড়লেই যথেষ্ট উপকৃত হবেন ইনশা আল্লাহ। তবু অনুরোধ, কোনদিন কখনই নষ্টদের কাছে কিছু শিখতে যাবেন না। সেই পাপের দায়বভার কেবল আপনারই হবে।</div>
<div style="font-family: georgia, serif;">
<br /></div>
<div style="font-family: georgia, serif;">
আল্লাহ আমাদের অন্তরগুলোকে কলুষতামুক্ত করে দিন। আল্লাহ পবিত্র, তিনি আমাদেরকে তার গুণে গুণান্বিত হবার তাওফিক দিন।</div>
<div style="font-family: georgia, serif;">
<br /></div>
<span style="font-family: georgia, serif;">8 Apr 2014</span></div>
</div>
Anonymousnoreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7952958826059156073.post-75096575841802008862015-02-08T10:44:00.000+06:002015-05-26T12:22:27.867+06:00আপনাদের প্রশ্ন, আমাদের উত্তর @ আমি একজন কে খুব ভালবাসি<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<div class="gmail_default" style="font-family: georgia,serif;">
::: প্রশ্ন ::: <br />
আমি একজন কে খুব ভালবাসি ...।। আমি জানি এটা হারাম...।। সেজন্য আমি সম্পর্ক ভেঙ্গে ফেলত্ব চাসসি ।। কিন্তু সে বলছে সে আমাকে ছাড়া বাঁচবে না ......... আমি সবে মাত্র অনার্সে ভর্তি হইসি ...এখন কি করব ??? ...।<br />
<br />
<a name='more'></a><br /><br />
::: EMC উত্তর :::<br />
আসসালামু আলাইকুম। দেখুন ভাই, আল্লাহ বিয়ের আগে এমন সম্পর্ককে পছন্দ করেন না। আপনি একটা পাপের কাজ করছিলেন। আপনি মুক্ত হতে চাইলে শয়তান আপনাকে ধরে রাখতে চাইবে। 'মন ভাঙ্গা আর মসজিদ ভাঙ্গা সমান' টাইপের প্রচলিত ভুয়া কথা এরকম সময়ে অনেকেই বলাবলি করে। শয়তান নারী-পুরুষের মধ্যে এমন আবেগ সে জাগিয়ে দিবে এটাই স্বাভাবিক। আল্লাহর নির্দেশ অমান্য করে কোন কিছুতেই ন্যুনতম কোন কল্যাণ থাকতে পারে না, সেটা মানুষকে টেনে-হিঁচড়ে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাবেই। ভেবে দেখুন, পৃথিবীতে এখনো লাখ লাখ নারী পুরুষ আছে যারা ভাবতো তারা একজন আরেকজনকে ছাড়া বাচবে না কিন্তু তারা দিব্যি বেশ ভালোভাবে বেঁচে আছে। আপনার সর্বপ্রথম উচিত তাওবা ইস্তিগফার করা। মেয়েটিকে বলে দিন আপনি আল্লাহকে ভালোবাসেন এবং তাকে ভয় করেন তাই তিনি যা অপছন্দ করেন তা করতে রাজি নন। আপনি নিজেই ঠিক করুন আপনি মেয়েটিকে খুশি করতে চান নাকি আল্লাহকে? আপনি মন থেকে তাওবা করুন এবং এমন ভুল আর না করার নিয়াত করুন। যে তাওবা করে এবং পাপ না করার নিয়াত করে, সে ঈমানের যে স্বাদ অন্তরে অনুভব করে, সেই আনন্দ ও প্রশান্তি সে আর কোনভাবেই পাবে না। ভুলের মাঝে ডুবে থেকে সঠিক পথ পাওয়া যায় না। আখিরাতের সফলতা পেতে চাইলে ভুলকে পেছনে ফেলে নতুন উদ্যমে আল্লাহর পথে আত্মনিয়োগ করুন। 'অফ টাইম' কম রাখুন যা আপনাকে পেছনের স্মৃতি ভাবাবে যা হয়ত নতুন করে আবেগাপ্লুত করবে এবং তখন শয়তান কাজের সুযোগ পেয়ে যাবে। দাওয়াহ কাজে, কুরআন-হাদিসের তা'লিমে, কুরআন তিলাওয়াত ও কুরআন হাদিস অধ্যয়নের মাঝে, যারা ইসলাম শিখছেন ও আন্তরিকভাবে তা পালন করছেন তাদের সান্নিধ্যে নিজেকে ব্যস্ত রাখুন। ইসলাম কেমন করে জীবনসঙ্গী খুঁজতে বলেছে তা শিখুন, সেভাবে নিজেকে প্রস্তুত করুন। অনেকদিন পর যখন আপনার অন্তর পূর্বের মোহগ্রস্ততা ও অনুভূতি থেকে মুক্ত হবে, তখন মুসলিম নারী খুঁজে বিয়ের উদ্যোগ নিন। আল্লাহ আপনাকে সাহায্য করুন। </div>
</div>
Anonymousnoreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7952958826059156073.post-44335887220738321792014-12-02T14:40:00.001+06:002015-05-26T12:22:32.470+06:00ভোগবাদীদের অনুষ্ঠানে মঞ্চে শিল্পীর মৃত্যু হলেও নাচাগানা থেমে থাকে না<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<div class="gmail_default" style="font-family: georgia,serif;">
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যামিরেটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান সাহেব দার্শনিক লোক হিসেবে পরিচিত, সুশীলও বটে। চোখের সামনে সহবক্তা কাইয়ুম চৌধুরী মরে গেলেও তিনি অনুষ্ঠান থামাতে আগ্রহী ছিলেন না, দার্শনিকতা কপচে বলে উঠলেন, "অনুষ্ঠান চলবে, জীবন যেমন বয়ে চলে"। [সূত্র: কালের কন্ঠ, ১/১২/১৪] তার একটু আগেই কাইয়ুম চৌধুরী স্টেজে উঠে বলেছিলেন, "আমার একটি কথা বলার রয়েছে।" কিন্তু মৃত্যুর ফেরেশতা তাকে সে সুযোগ দেননি। মৃত্যুর নির্দেশ আল্লাহ এভাবেই দেন। ঠিক যে সময়ে, যে মূহুর্তে ঠিক করা রয়েছে তার একচুল এদিক ওদিক হয়না। শিল্পী কাইয়ুম এখন আখিরতের পথে হাঁটা দিতে বাধ্য হয়েছেন। যা কথা বলার তার অতীত নিয়েই বলতে হবে এখন আল্লাহর কাছে।<br />
<br />
<a name='more'></a><br /><br />
আসলে, আখিরাতের চিন্তাহীন সুশীল দার্শনিক পন্ডিতদের বুলিগুলো এমনই। গোটা জীবনে কাইয়ুম চৌধুরী যাদের সাথে মঞ্চে উঠলেন, হাত মেলালেন, তিনি জানতেন না তার মৃত্যু তাদের কাছে এতটাই বেইললেস, মূল্যহীন। একটি প্রাণ দুনিয়া ছেড়ে চলে গেলো, তাতে ন্যুনতম ভ্রূক্ষেপ নেই এসব উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত নিয়ে মেতে থাকা লোকগুলোর। হয়ত কাইয়ুম চৌধুরী এমনটাই চেয়েছিলেন। যে যেমন টাইপের, সে তো তেমন মানুষের সাথেই চলাফেরা করে, তাদের সঙ্গলাভে তৃপ্ত হয়। এমন শিল্প-সংস্কৃতির চর্চাই করলেন যে তার মৃত্যু কাউকে নাড়াও দিলো না। উচ্চাঙ্গসঙ্গীত উৎসব আসলে থেমে থাকে না।<br />
<br />
আজকাল ছেলেমেয়েরা পার্টি করে অনেক। কেউ অসুস্থতার কারণে অনুপস্থিত থাকলে তাকে দেখতে যাওয়ার মতন আদ্যিকালের সৌজন্যতা এখন আর কেউ পাত্তা দেয় না। ভোগবাদী জীবন এমনই জিনিস। এটা মানুষকে আরো ভোগ করায়, এই ভোগবাদ আরো বেশি পার্টি, ইয়াবা,শিশা, ড্রিংক্স,পিজ্জা,আইফোন, ফেসবুক, মিউজিক, এঞ্জয়মেন্টে বুঁদ করে রাখে। এভাবেই ভোগবাদী দার্শনিক অধ্যাপকেরা মৃত্যুকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে অনুষ্ঠান চালিয়ে যেতে থাকেন।<br />
<br />
দার্শনিক-বুদ্ধিজীবী-সুশীল লোকগুলো তাদের কেউ মরে গেলে অন্যরা শোকসভা বা টকশোতে পকপকাবে শুধু নিজের মার্কেট চালু রাখতে। বাস্তবে কেউ কাউকে গুণে না। যে মরে গেলো, সে যে এখন বিচারালয়ে পা দিলো, গোটা জীবনের হিসাব নিকাশের ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি হলো--সে চিন্তা কেউ করে না। কিন্তু মৃত্যু খুবই কঠিন, হিসাব-নিকাশ খুবই কঠিন। সবাই আমরা এই মৃত্যুর মুখোমুখি হবো। আল্লাহ মাফ করুন।<br />
<br />
আল্লাহ আমাদের সমাজকে পথভ্রষ্ট সুশীল/শিল্পী/সাহিত্যিক/দার্শনিক/বুদ্ধিজীবীদের ভন্ডামী ও ক্ষতিকর থাবা থেকে রক্ষা করুন। </div>
</div>
Anonymousnoreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7952958826059156073.post-58147076116197993952014-10-29T15:20:00.000+06:002015-11-30T18:37:58.108+06:00'ট্রু লাভের' ছড়াছড়ি আর কিছু মুসলিম ছেলেমেয়ের কথা<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
যেসব ভাইবোনেরা চারপাশের উত্তাল বন্যার স্রোতের মতন 'ট্রু লাভ' দেখে,
সস্তার চাইতে সস্তা ভালোবাসা আর কামের প্রচারণা দেখেও নিজেদের সংযত রাখতে
রাখতে ক্লান্ত হয়ে বিরক্ত হয়ে যাচ্ছেন, তাদের জন্য বলছি -- হে আমার
ভাই/বোন, আপনি তো আল্লাহর জন্যই নিজেকে সংযত রাখছেন তাইনা? আপনি তো জানেন,
আমাদের যেকোন সময় যে মৃত্যু আলিঙ্গন করতে পারে, এবং তার পরেই আল্লাহর কাছে
যেতে হবে। আল্লাহ আমাদের প্রতিটি নিঃশ্বাসের খবর রাখেন, তিনি আমাদের জীবনের
কষ্টগুলোর, পরীক্ষাগুলোর বিপরীতে তার জন্য আঁকড়ে ধরে থাকা ভালোবাসাকে
পছন্দ করেন।<br />
<br />
আপনি যদি আপনার অনাগত মানুষটির জন্য পবিত্র থাকতে
চেষ্টা করতে থাকেন, যত কষ্টই হোক, আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দিবেন।
আল্লাহর পুরষ্কার তো আমাদের কল্পনারও অতীত, তাইনা? আপনি যদি জীবনসঙ্গীর
সাথে মিলিত হবার আগেই দুনিয়া থেকে চলে যান, জান্নাতে আল্লাহ আপনাকে উত্তম ও
পবিত্র সঙ্গী দান করবেন। আল্লাহর জন্য কষ্ট করা আপনার প্রতিটি মূহুর্ত,
প্রতিটি ক্ষণ আপনার জন্য অকল্পনীয় পুরষ্কারের ব্যবস্থা করে দিবে। আল্লাহ
প্রিয় বান্দাদেরকে কিন্তু একটু বেশি করে পরীক্ষা করেন, তাদের হাতগুলো যখন
দু'আর জন্য উঠে থাকে আর চোখের পানি ঝরতে থাকে -- সেই মূহুর্ত আর অন্তরকে
আল্লাহ পছন্দ করেন।<br />
<br />
প্রচুর দু'আ করুন। আল্লাহর কাছে দু'আ করুন তিনি
যেন আপনার জন্য যাকে নির্ধারিত রেখেছেন সে-ও যেন পবিত্র থাকে। সমাজের,
সংস্কৃতির নখরের জঘন্যতা যেন তাকে স্পর্শ না করতে পারে। আল্লাহর ভান্ডার
অফুরন্ত, আল্লাহ নিশ্চয়ই সমস্ত দু'আ শোনেন। প্রতি ওয়াক্ত নামাজে আপনি আপনার
অনাগত মানুষটির জন্য দু'আ করতে থাকুন। কে জানে, হয়ত যিনি আপনার জন্য
নির্ধারিত আছেন, তিনি আপনার দু'আর বদৌলতেই বদলে যাবেন, আরো উন্নত হবেন,
ছুটবেন জান্নাতের পথে, ইসলামকে আঁকড়ে ধরবেন আপনার চাইতে বেশি করে।<br />
<br />
দু'আ
হচ্ছে বান্দার এমন এক মাধ্যম যা ভাগ্য বদলে দেয়, যা আমাদেরকে আল্লাহর খুব
কাছে নিয়ে যায়। ভাই ও বোন আমার, দু'আ করুন, প্রচুর দু'আ করুন। ইনশা আল্লাহ
খুব শীঘ্রই আল্লাহ আমাদেরকে পুরষ্কৃত করবেন। আল্লাহ অভাবহীন, দয়াময়,
প্রেমময় ও অসীম দয়ালু।<br />
<br />
~ একজন মুসলিম ভাই</div>
Anonymousnoreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7952958826059156073.post-73057179309370968392014-10-17T20:53:00.000+06:002015-04-15T20:06:34.360+06:00পর্নোগ্রাফি ও সংসার <div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<div class="gmail_default">
<div style="font-family: georgia, serif;">
একটা খুব প্রয়োজনীয় কথা, একটা সিরিয়াস সতর্কবাণী। অবিবাহিত মুসলিম ভাই-বোনদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। অনেকের ধারণা -- "বিয়ের আগের কিছু খারাপ স্বভাব আছে, বিয়ে হলে হয়ত কেটে যাবে, ব্যাপার না।" -- ব্যাপারটা সম্পূর্ণ ভুল। </div>
<div style="font-family: georgia, serif;">
<br /></div>
<div style="font-family: georgia, serif;">
পাশ্চাত্যের দেখাদেখি পর্ণোগ্রাফি আমাদের সমাজেও মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। ফেসবুকেও অজস্র পর্ণগ্রাফিক ফটোর ছড়াছড়ি। ছেলে এবং মেয়ে কেউ বাদ যায় না এসব ছবি দেখার হাত থেকে। অনেক ছেলেরাই পর্ণগ্রাফি মুভি এবং গল্পসমূহের নেশার শিকার। মনে রাখবেন, পর্ণগ্রাফি কোন অভ্যাস নয় শুধু, এটা একটা নেশা -- নিউরোসায়েন্টিস্টরা বিষয়টাকে ভয়াবহ নেশা হিসেবেই ব্যাখ্যা করেছেন। একসময় অভ্যাস হয়ে তা মনের ভিতরে প্রোথিত হয়ে যায়। অজস্র সংসার ভেঙ্গে যাচ্ছে কেননা বিয়ের পরে স্ত্রী আবিষ্কার করেন তার স্বামী তাকে আসলে পর্নোগ্রাফি নায়িকার মতন করে চাচ্ছে। ক্রমাগত পর্ন মুভি দেখতে দেখতে অনেকেই মানসিকভাবে নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে। বিয়ের পরেও ছাড়তে পারে না। </div>
<div style="font-family: georgia, serif;">
<br /></div>
<a name='more'></a><div style="font-family: georgia, serif;">
<br /></div>
<div style="font-family: georgia, serif;">
<br /></div>
<div style="font-family: georgia, serif;">
সময় থাকতেই সাবধান হোন। এই নেশা কাটিয়ে উঠুন। মুখে যত ভালো কথাই বলুন না কেন, সবাই আপনাকে যতই ভালো মানুষ জানুক না কেন, স্ত্রী ঠিকই বুঝতে পারে সেই পুরুষ মূলত কোন পর্যায়ের চরিত্রবান। একজন পুরুষের চরিত্রের ব্যাপারে তার স্ত্রীর সাক্ষ্যই গ্রহণীয়। </div>
<div style="font-family: georgia, serif;">
<br /></div>
<div style="font-family: georgia, serif;">
চলমান সমাজে এরকম সমস্যা অনেকের হয়ত হয়ে গেছে। কিন্তু আজই নিজেকে বদলে ফেলতে উদ্যোগ নিন। তাওবাহ করুন। একাকীত্ব এড়িয়ে চলুন, কুরআনের সাথে সম্পর্ক বৃদ্ধি করুন। ফরয নামাযের সাথে নফলের পরিমাণ বাড়িয়ে দিন। আল্লাহকে ভয় করে চোখ ও লজ্জাস্থানকে সংযত করুন। </div>
<div style="font-family: georgia, serif;">
<br /></div>
<div style="font-family: georgia, serif;">
আপনার ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সমস্যা আগামীতে সংসার ভেঙ্গে যাওয়ার বড় কারণ হতে পারে যদি আজই সতর্ক না হোন। আল্লাহ বান্দাকে সাহায্য করেন যখন সে ভালো নিয়াত করে। আল্লাহ আমাদের সকল ভাই ও বোনদের সাহায্য করুন এবং সুন্দর চরিত্রবান একটি সমাজের অংশ হিসেবে সবাইকে কবুল করে নিন। </div>
<div style="font-family: georgia, serif;">
<br /></div>
<div style="font-family: georgia, serif;">
* * * * * </div>
<div style="font-family: georgia, serif;">
[২]</div>
<div style="font-family: georgia, serif;">
<br /></div>
<span style="font-family: georgia, serif;">পর্নোগ্রাফির থাবা এই সমাজে কত গভীরে ঢুকে গেছে তা কল্পনাতীত। একদিকে নামাজি ছেলেমেয়ের সংখ্যা খুবই নগন্য, অনেকগুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিজাব ব্যান করেছে; অন্যদিকে 'শাহবাগী মুসলিমদের' মতন নামকাওয়াস্তে মুসলিমে ছেয়ে গেছে। এরা থাবাবাবার মতন নিকৃষ্টের জানাজা পড়েছে, রাসূলের (সা) পরিবারকে নিয়ে লেখা কুরূচিময় বিকৃত ব্লগগুলোকে তারা স্বাভাবিক চোখে(!) দেখে-- আসলে এদের বোধ মরে গেছে । এমন বিকৃত রূচি আর অসুস্থ মানসিকতায় গড়ে উঠছে 'সেক্যুলার' শিক্ষায় সেকুলার কালচারের বাংলাদেশ। আমাদের সমাজে শরীরস্বর্বস্ব ছেলেমেয়েদের তাই এখন বাম্পার ফলন।</span><br />
<span style="font-family: georgia, serif;"><br /></span>
<span style="font-family: georgia, serif;">ছোট ছেলেমেয়েরা মোবাইল ফোন, টাবলেট আর কম্পিউটারে কী করে? গেম খেলে? কতক্ষণ? বাবামায়েরা খোঁজ রাখে কি? সেদিন দেখলাম একটা রিকসায় ঘোমটা পরা সাধারণ বাঙালি মায়ের পাশে বসে স্কুলগামী ছেলে মোবাইলে ফেসবুক চালাচ্ছে, দূর থেকেও তার মোবাইল স্ক্রিণে স্বল্পবসনা মেয়েদের ছবি স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছিল। মা তার পুত্র সন্তানকে পাশে নিয়ে বসে আছেন যখন তার ছেলে চোখ দিয়ে মেয়েদের গিলে খাচ্ছে... ক'দিন পর তার তৃষ্ণা বেড়ে যাবে, তখন কি আর শুধু বান্ধবীদের ফটোতেই সে সন্তুষ্ট থাকবে? তার নেই শিক্ষা, নেই সঠিক নিয়াতে বিয়ের সম্ভাবনা, তাহলে পাপাচারের ভবিষ্যত ছাড়া আর কিছু রইলো কি? থাকেও না, এরা কিছুদিন পরেই প্রেম-ডেটিং ইত্যাদিতে আনন্দ খুঁজে নেয়। বল্গাহীন জীবনের সীমাহীন যন্ত্রণা যার জীবনের সমাপ্তি।</span><br />
<span style="font-family: georgia, serif;"><br /></span>
<span style="font-family: georgia, serif;">সাইবার ক্যাফেতে গেলে প্রায় সবসময় ব্রাউজার হিস্টরিতে দেখতে পাওয়া যায় পর্নোগ্রাফি সাইটের নাম। গুগলে বাংলায় কিছু চাপতে গেলে ভেসে ওঠে নোংরা সব সার্চ কী-ওয়ার্ড। এগুলো বলেই দেয় এই দেশের উঠতি এবং বয়ষ্ক গোষ্ঠীর চিন্তার মাঝে কী পরিমাণ কদর্যতা মিশে গেছে। শহরে হাইস্কুলে পড়া মেয়েদের মাঝে খুব কমই বয়ফ্রেন্ড না থাকাতেই মুক্তি খুঁজে পায়। পর্নোগ্রাফি এদের মোবাইলে খুব সহজেই ঢুকে পড়ে। অভিভাবকরা হয়ত জানে না, জানলেও কিছু বলে না। অদ্ভুত বিচিত্রতায় ভরপুর এই সমাজ এখন।</span><br />
<span style="font-family: georgia, serif;"><br /></span>
<span style="font-family: georgia, serif;">প্রেম নামক সম্পর্কটা আগেও হারাম ছিলো, এখনো আছে। এখন ছেলেমেয়েরা প্রেম করলেই তাতে শরীর জড়িয়ে নেয়। প্রেম করে 'ছ্যাকা খেয়ে কেউ কান্নাকাটি করে, অন্যেরা 'শরীরের পাপ' ঝেড়ে ফেলে এগিয়ে যায় নতুন পাপে, আবার কেউ কেউ গলায় দড়ি দিয়ে পটল তুলে নেয়। ছোট ছোট ছেলেমেয়ে, ফোনে অপরিচিতদের সাথে আলাপে মাস্তি করে। নাটক আর টেলিভিশন বলে দিচ্ছে তাদের প্রেম করতে হবে, প্রতিটি বিলবোর্ড বলে দিচ্ছে তাদের প্রেম করতে হবে।</span><br />
<span style="font-family: georgia, serif;"><br /></span>
<span style="font-family: georgia, serif;">এগুলো শেষ করা সম্ভব নয় রাতারাতি। নোংরামি, পাপাচার, ধর্মহীন, ইসলাম বিদ্বেষের এই কুৎসিত সমাজে একমাত্র আল্লাহর ভয়, আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা এনে দিতে পারে নতুন প্রাণ, নতুন সতেজতা, নতুন এক সুন্দর পৃথিবী.. </span></div>
</div>
Anonymousnoreply@blogger.com3tag:blogger.com,1999:blog-7952958826059156073.post-37084941791901317222014-10-15T13:23:00.000+06:002015-04-15T18:28:27.711+06:00ফেসবুক কোন ম্যাচমেকিং মিডিয়া নয়<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
<div class="gmail_default" style="font-family: georgia,serif;">
বিয়ে করতে উতলা হয়ে বিছানা কাটাকাটিতে বসে যাওয়া, আম্মাকে ফোন করে শীতের দিনে সবার বিয়ে হওয়ার আলাপ করতে বসে যাওয়ার গল্পগুলা কেবল রম্যতেই মানায়। বাস্তবে এসব কাপুরূষতা। বিয়ে করতে সাহস লাগে। পুরুষ হিসেবে আপনার বিয়ে করার আগ্রহটা কোন ফান না। রাতের বেলা একলা লাগে, শীতের দিনে একলা লাগে বলে ফেসবুকে পোস্ট দেয়া খুবই লজ্জাজনক ব্যাপার।<br />
<a name='more'></a><br />
<br />
পুরুষ সংসারের কর্তা, নেতৃত্বের কাজটা তাকেই করার দায়িত্ব দেয়া রয়েছে। এটা হাত কচলানোর বিষয় না, বন্ধুদের কাছে সরস গল্প করার বিষয় না। বাংলা ভাষায় একটা শব্দ আছে--'হ্যাডম'। আপনি যদি পুরুষ হন এবং আপনার যদি বিয়ে করার 'হ্যাডম' থাকে তাহলে সরাসরি সেটার ব্যাপারে বাবা-মাকে জানান।<br />
<br />
বিয়ে আপনি কেন করবেন সেটা আপনি স্পষ্ট তো? কেবল একলা লাগে বলে, সবাই প্রেম করে বলে বিয়ে করতে যাওয়া একটা নির্বুদ্ধিতা। বিয়ে কোন ডেটিং না। বিয়ে একটি ইবাদাত, একটি দায়িত্বের নাম। বিয়ের পরের জীবনে আনন্দ যেমন আছে, দায়িত্ব এবং কর্তব্য পালন করতে না পারলে সীমাহীন ভোগান্তিও আছে। একটা মেয়ের ভরণপোষণ ও তার মানসিক-আবেগিক সঙ্গী হবার দায়িত্ব নিয়ে আপনি তাকে স্ত্রী করে নিয়ে আসবেন, আপনাকে আপনার উপার্জনের ব্যাপারে স্পষ্ট ও সচেতন থাকতে হবে। যে পুরুষ বাপ-মায়ের কিংবা শশুরের উপরে তার স্ত্রীকে ছেড়ে দেয়, তার ব্যক্তিত্ব বলে কিছু থাকে না; তার স্ত্রী সেই স্বামীকে নিয়ে আত্মবিশ্বাসী হতে পারে না।<br />
<br />
আপনি যদি মনে করেন আপনি প্রাপ্তবয়ষ্ক, আপনার সঙ্গিনী দরকার। তাহলে সবার আগে আপনি দায়িত্বশীল হউন, কাজে কর্মে তা অভ্যাস করুন। ফেসবুকে আবিয়াইত্তা পোস্টিং করার মাঝে আপনার সিরিয়াসনেস প্রকাশ পায় না। ভার্চুয়াল মজা করার সাথে বাস্তব জীবনের দায়বদ্ধতার অনেক ফারাক আছে। ফেসবুকের পোস্ট দেয়ার চেয়ে আপনার নিজের সাথে বোঝাপোড়া বেশি দরকার।<br />
<br />
আপনার বাসায় জানান আপনি বিয়েতে আগ্রহী। বাংলাদেশের খুব কম পরিবার ছেলের পড়াশোনার খরচ এবং তার বৌকে পালতে সমর্থ থাকে/আগ্রহী থাকে। তাই আপনাকে আপনার চরিত্র সুরক্ষায়, দ্বীনের অর্ধেক পূরণে আপনার সিরিয়াসনেস, আগ্রহও প্রকাশ করতে সরাসরি আব্বা আম্মার সাথে কথা বলতে হবে। যে ছেলে নিজের বাবা-মায়ের সামনে বিয়ের কথা প্রকাশে লজ্জা পায়, সাহস পায় না, সে তার স্ত্রীর ভরণপোষণ,মানসিক ও আবেগিক প্রয়োজন পূরণে সামর্থ্য রাখবে সেকথা কি কেউ বিশ্বাস করবে?<br />
<br />
ফেসবুক অনেক সিরিয়াস বিষয়কে ফান আর শেয়ারিং করে সস্তা করে দিয়েছে, বিয়েটা তার অংশ না হোক।<br />
<br />
<br />
* * * * * * *<br />
[২]<br />
<br />
অনেক ভাইদেরকে ইদানিং দেখা যায় ফেসবুকে বিভিন্ন কমেন্ট বক্সে প্রকাশ করেন যে তারা বিয়েতে আগ্রহী, কোন মেয়ে থাকলে যেন তাদের সাথে যোগাযোগ করে। <br />
<br />
নিঃসন্দেহে সোশাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলো, যেমন ফেসবুক এখন মানুষকে খুব সহজেই কানেক্ট করে দেয়। অচেনাদেরকে চেনাজানা করে দেয়, অনেক ভাবনাচিন্তার খোরাক যোগায়, অনেক সময় কাটানোর সুযোগ হয়। কিন্তু হে ভাই! আপনি কেমন করে মনে করলেন খোঁস-পাচড়ার মলম বিক্রেতার মতন যেখানে সেখানে বিয়ের আগ্রহ প্রকাশ করলে বিয়ে হয়? যে নারী একজন পুরুষকে আঁকড়ে ধরে থাকবেন বাকীটা জীবন, সে পুরুষটিকে চান ব্যক্তিত্বসম্পন্ন, দায়িত্বজ্ঞানসম্পন্ন। একজন নারী চান তার স্বামী তাকে সম্মানিতা করে রাখবেন। কমেন্ট বক্সে, ইনবক্সে বিবাহে আগ্রহ পুরুষদের প্রতি সেই বিশ্বাস প্রথমেই থাকে না। বিয়ের আগেই যে কোন মেয়েকে যথেষ্ট সম্মানিত উপায়ে যোগাযোগ করতে পারছে না, বিয়ের পর সে কোন নারীকে কেমন করে সম্মান দেবে? <br />
<br />
একইভাবে যেসব মেয়ে জানালার পাশে গ্রিল ধরে, গাছের পাতা ধরে, বিছানায় বসে, এদিক-ওদিক তাকিয়ে, ইনিয়ে-বিনিয়ে নানানরকম ছবি ফেসবুকে আপলোড করে মনে করেন এতে করে 'যোগ্য' ছেলেরা তাদের প্রতি আগ্রহী হবে-- এটাও চরম ভুল। প্রকৃতপক্ষে নিজেকে সস্তা করে উপস্থাপন করার মাঝে কোন কল্যাণ নেই। ওসব ছবি দেখে কেবল ঐ 'ছবিওয়ালিকেই' কোন ছেলে পছন্দ করতে পারে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে একটি নারীর ব্যক্তিত্ব, তার আবেগ ও চিন্তাধারাকে আপন করে নেয়া একটা পুরুষের জন্য খুব দরকারি। তাকেই জীবনে আপন করে নিন যে সঠিক উপায়ে আপনাকে বিয়ে করতে চায়। যে পুরুষটি সরাসরি বা কারো মাধ্যমে কোন মেয়ের বাবা/ওয়ালির সাথে যোগাযোগ করে বিয়েতে আগ্রহী হয় এবং নিজের চিন্তাভাবনা ও যোগ্যতা প্রকাশ করে সঠিক উপায়ে কোন মেয়ের সাথে বসে আলাপ করে বিয়ের সিদ্ধান্তের দিকে অগ্রগামী হয় -- সেই প্রকৃতপক্ষে সম্মানিত, সেই মেয়েটিও সম্মানিত উপায়েই বিয়ের পথে এগিয়ে যায়। পুরুষ হিসেবে যোগ্যতা প্রকাশ করতে সদর দরজা ধরে বাবা-মায়ের সামনে বসে ইন্টারভিউ দিয়ে দিয়ে তবেই মেয়েটির হাত ধরে তাকে অর্জন করতে হয়।<br />
<br />
বিয়ে কোন ডেটিং টাইপের ব্যাপার না। বিয়ের সাথে কল্পনাতীত দায়িত্ব ও সচেতনতা মিশে থাকে। যারা কিছু ত্যাগ করে, তারাই কিছু অর্জন করে -- তা বিবাহইচ্ছুকদের মনে রাখা বাঞ্ছনীয়। বিয়ে জীবনের সবচেয়ে বড় সিদ্ধান্তগুলোর একটি। নিজেকে সস্তা বানিয়ে বিবাহইচ্ছুক প্রকাশের মানে হয় না। আপনি আল্লাহর কাছে চাইতে থাকুন, পরিচিত দ্বীনী মুরুব্বিদেরকে জানিয়ে রাখুন আপনার আগ্রহের কথা, আপনার পছন্দের কথা। নিজেই নিজের সাথে বসে চিন্তা করুন কেমন জীবনসঙ্গী আপনার পছন্দ। এরপর অন্যদের জানিয়ে দিন কেমন সঙ্গী/সঙ্গিনী আপনার পছন্দ। <br />
<br />
সৎ পুরুষ ও নারী তাদের চিন্তা ও আচরণে স্পষ্ট ও দৃঢ় হয়। সততা আসে ঈমানের দীপ্তি থেকে। আল্লাহ আমাদেরকে উত্তম জীবনসঙ্গী/জীবনসঙ্গিনী দান করুন যারা আমাদের চোখ শীতলকারী হবে।</div>
</div>
Anonymousnoreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7952958826059156073.post-16672123160624749492014-09-09T19:09:00.000+06:002014-09-09T19:10:26.336+06:00বাবা-মায়ের সাথে সন্তানেরা মনের কথা শেয়ার করতে পারে না<div dir="ltr"><div class="gmail_default" style="font-family:georgia,serif">একটা অদ্ভুত প্রথা চলছে এ সমাজে। ঘরের মানুষদের কাছে ভালো ব্যবহার পাওয়া দুষ্কর হয়, রাগারাগি, ঝগড়াঝাটি, কথা কাটাকাটি চলে নিয়মিত। বাবা-মায়ের সাথে সন্তানেরা মনের কথা শেয়ার করতে পারে না সম্পর্কের জটিলতার কারণে, অথচ সেই সন্তানটিই বাইরে কোন বন্ধু বা বড় ভাইয়ের হাতে তার জীবনের স্পর্শকাতর 'শেয়ারিং' করে ভবিষ্যতকে জটিলতর করে ফেলে। মা-কে মেয়ের আন্তরিক গলায় কথা বলা হয় না কিন্তু বান্ধবীর সাথে ঘন্টার পর ঘন্টা মিষ্টি কথোপকথন হয়। ঘরে স্বামী-স্ত্রীর মাঝে মনোমালিন্য হয়, সেটা তারা সমাধানও করে না। কিন্তু তারা যখন কর্মস্থলে যায় তাদের পুরুষ-মহিলা কলিগদের সাথে মিষ্টি কথায়, মিষ্টি ভাষায় আলাপচারিতা শুনে ঘরকে অপছন্দ হতে থাকে। কর্মক্ষেত্রের সংস্কৃতি যদি মিষ্টি ভাষা ও সুন্দর ভাষা হয়, ঘরের মাঝে আদববিহীন আচরণ, নোংরা ভাষা ও অহংবোধের এইসব প্রদর্শনী আমাদের পরিবারগুলোকেই ধ্বংস করছে। কোন স্ত্রী স্বামীর প্রতি কঠোর ও তিক্ত ভাষা ব্যবহার করতে থাকে কোন চিন্তা মাথায় নিয়ে সেটা খুবই অবাক করা বিষয়। আমাদের সমাজের সংসারগুলোর এই ক্ষয় ও দুর্গতি নিয়ে সবারই চিন্তা করা উচিত। নিজেদের প্র্যাকটিসিং বলে বলে মুখে ফ্যানা তুলে ফেলা মানুষদের পরিবারেও অজস্র সমস্যা এখন। অথচ আল্লাহর কাছে সেই ব্যক্তি প্রিয় যার আচরণ সুন্দর, শুধু চরিত্রই যথেষ্ট নয়। অন্যদের সাথে কেমন করে ব্যবহার করা হয় সেটাও গুরুত্বপূর্ণ।<br></div></div> Anonymousnoreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7952958826059156073.post-44387063370483326892014-08-27T20:04:00.000+06:002014-08-27T20:05:24.762+06:00ছেলেরা সম্মান পেতে চায়, মেয়েরা চায় ভালোবাসা<div dir="ltr"><div class="gmail_default" style="font-family:georgia,serif">শাইখ ওয়ালিউল্লাহ একটা আলোচনাতে বলেন, আমরা আমাদের বাপ-দাদাদের খারাপ ট্রেডিশানগুলোই মূলত অনুকরণ করেছি, ভালোগুলো খুব কমই করি। এখনকার সমাজে তাই খারাপের প্রচলন অনেক বেশি হয়ে গেছে। উদাহরণস্বরূপ বলছিলেন, একসময় দাদী-নানীরা সম্মান করে তাদের হাজব্যান্ডদের নাম ধরে ডাকতেন না কখনো। যদিও এই ধরণের কোন বিষয় ইসলাম আদেশ করে না তবু এরকম সম্মানের ব্যাপারগুলো এখন সমাজ থেকে প্রায় উঠেই গেছে। এখনকার অনেক অনার্স/মাস্টার্স পাশ স্ত্রী তাদের স্বামীদের গায়ে হাত তোলেন এমন ঘটনাও সমাজে বেশ ছড়িয়ে গেছে। চল্লিশা, তিরিশা টাইপের কিছু শোক পালনের মতন বানোয়াট এবং ভুল ট্রেডিশান এখনো সমাজের আনাচে কানাচে চলছেই... কিন্তু আমাদের দাদাদের মুখের উপরে কথা বলা দূরে থাক, তাদের চেয়ারে পর্যন্ত বসার কাজটি করতেন না আমাদের আব্বা-চাচারা। যদিও ইসলাম এমনটি করতে বলে না, তবু আমরা তো সম্মান করার বিষয়গুলো না নিয়ে কেবল ভুল ও নিষিদ্ধ কাজগুলোকেই জারী রাখছি পরবর্তী সময়ে... <br> <br>সম্মান করা ভালোবাসা পাওয়ার একটি মাধ্যম। বেশিরভাগ মানুষই বলেন, ছেলেরা সম্মান পেতে চায়, মেয়েরা চায় ভালোবাসা। সংসারের ছোট-বড় কাজে স্বামীদের সম্মান না দিয়ে বরং লাঞ্ছিত-অপমানিত করার মাঝে নারীর ভালোবাসা অর্জনের কোন সম্ভাবনা নেই, তেমনি স্ত্রীকে ভালোবাসা না দিলেও সম্মান পাওয়া যায় না। এই বুঝগুলো আমাদের সমাজ থেকে যেন হারিয়েই যাচ্ছে। ভালোবাসা এবং সম্মান কোন দাবী-দাওয়ার মতন বিষয় নয়, কিন্তু এটা কাজ দিয়ে অর্জন করে নিতে হয়। <br> <br>প্রিয়জনদেরকে তাদের প্রাপ্য সম্মান ও ভালোবাসা বুঝিয়ে দিন এবং নিজেকে প্রস্তুত করুন আগামীর সুন্দর জীবনের জন্য। <br></div></div> Anonymousnoreply@blogger.com1tag:blogger.com,1999:blog-7952958826059156073.post-53123580057056688572014-08-24T12:46:00.000+06:002015-04-08T10:59:31.549+06:00 পর্নোগ্রাফি নেশায় আক্রান্তদের মুক্তির জন্য কিছু সহজ টিপস<div dir="ltr" style="text-align: left;" trbidi="on">
সমাজের অনেকেই প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে অনাকাংখিত সেক্সুয়াল রিলেশনশিপ বা যিনার সাথে জড়িয়ে পড়েন। আল্লাহর রাহমাতে তারা হয়ত ভুল বুঝতে পারেন। কিন্তু পুরোনো খারাপ কাজ আর পিছু ছাড়ে না, স্মৃতিতে আসতে থাকে, আবারো সেই পাপে পড়ে যাবার সম্ভাবনা থাকে। ভুল মানুষ করতেই পারে, সেটাই মানবিক। কিন্তু ভুলের উপরে দাঁড়িয়ে থাকা শয়তানের কাজ। তাই ভুল স্বীকার করে জীবনকে সুন্দর করার জন্য কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে।<br />
<br />
নুমান আলী খান একটি ভিডিওতে পাওয়া কিছু টিপসের সাথে আরো কিছু জিনিস যোগ করে দিলাম। আশা করি উপকার হবে। আল্লাহ মুসলিম সমাজের সবাইকে হেফাজত করুন।<br />
<br />
-- সবার আগে সেই খারাপ কাজ ছেড়ে সরে আসতে হবে।<br />
<br />
-- আন্তরিকভাবে অনুতপ্ত হতে হবে [তাওবা ও ইস্তিগফার করা]<br />
<br />
-- ক্রমাগত ভালো কাজ করতে হবে, কেননা ভালো কাজ মন্দ কাজকে ঢেকে দেয়।<br />
<br />
-- সঙ্গীসাথী বদলে ফেলতে হবে। আগেকার সম্পূর্ণ ফ্রেন্ড সার্কেলকে এভয়েড করতে হবে।<br />
<br />
-- একাকীত্ব থেকে দূরে থাকতে হবে, প্রয়োজনে ভালো সঙ্গীর কারণে গিয়ে ভালো বিষয়ে আলোচনা করতে দূরে কোথাও যাওয়াও উচিত হবে।<br />
<br />
-- কমিউনিকেশন ডিভাইস থেকে দুরত্ব রাখতে হবে, বিশেষ করে একাকীত্বের সময়ে যেন আবার কোন নতুন সমস্যায় জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা না থাকে।<br />
<br />
-- আল্লাহর স্মরণ করতে হবে সবসময়।<br />
<br />
-- নামাজে নিয়মিত হতে হবে, ইসলামি জ্ঞানার্জনে নিজেকে লাগিয়ে দিতে হবে।<br />
<br />
-- নিজেকে স্মরণ করাতে হবে, দুনিয়ার জীবন ক্ষণস্থায়ী। আখিরাতে আল্লাহ এই জীবনের সবকিছুর হিসেব নিবেন। <br />
<br />
-- বিবাহপূর্ব বা বিবাহবহির্ভূত সকল সম্পর্ক এড়িয়ে চলুন।<br />
<br />
-- মোবাইল ফোন, ফেসবুক, মেসেঞ্জারেও যেকোন কমিউনিকেশন থেকে দূরে থাকুন। নইলে শয়তানের ওয়াসওয়াসায় জীবন আবার জটিল হয়ে যাবে।<br />
<br />
অনুপ্রেরণা -<br />
<br />
১) নুমান আলি খান - সেক্সুয়াল ডিজায়ারস <a href="http://www.youtube.com/watch?v=rJY7SoREkOk">http://www.youtube.com/watch?v=rJY7SoREkOk</a><br />
<br />
২) টাইম টু কিক পর্ন আউট অফ দি সিস্টেম <a href="http://muslimmatters.org/2011/08/15/ramadan-time-to-kick-porn-addiction-out-of-your-system/">http://muslimmatters.org/2011/08/15/ramadan-time-to-kick-porn-addiction-out-of-your-system/</a><br />
<br />
//২৪ আগস্ট, ২০১৩</div>
Anonymousnoreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7952958826059156073.post-1754263475809807112014-05-27T11:50:00.001+06:002014-05-27T11:50:44.466+06:00বিয়ে মানে কি কুরবানি? বিবাহিত মানে কি মৃত?<div dir="ltr"><div class="gmail_default" style="font-family:georgia,serif;display:inline"></div><div class="gmail_default" style="font-family:georgia,serif;display:inline">বিয়ে মানে কুরবানি, বিবাহিত মানে মৃত --> এরকম কিছু কথা সমাজে প্রচলিত। নতুন প্রজন্মের মাঝে খুব বেশি ফান বা মজা-মশকরা হিসেবে এইসব ব্যবহৃত হয়। আপনি কি ভেবে দেখেছেন আপনি যেই ফান করেন তা কি সঠিক নাকি বেঠিক? আপনার জীবনের প্রতিটি কাজ আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য হচ্ছে কিনা তা যখন চিন্তা করবেন, এটাই আপনার ঈমানের পরিচয়।<br> <br>বিবাহিত মানে কি আসলেই মৃত? অথচ আল্লাহ বলেছেন তিনি আমাদের জন্য আমাদের জীবনসঙ্গীদেরকে সৃষ্টি করেছেন যেন আমরা প্রশান্তি, উচ্ছ্বাস আর দয়া অনুভব করি। আমাদের প্রিয় রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাদের বলেছেন বিয়ে হলো দ্বীনের অর্ধেক। আল্লাহ বলেছেন আমাদেরকে প্রকাশ্য বা অপ্রকাশ্য নির্লজ্জতার আশেপাশেও না যেতে। আমাদের প্রতি আদেশ রয়েছে আমাদের দৃষ্টিকে সংযত রাখতে, লজ্জাস্থানের হেফাজত করতে। এমতাবস্থায় আপনার শারীরিক আর মানসিক প্রয়োজনগুলো যদি আল্লাহর নির্দেশ অমান্য না করে আপনি সামলাতে পারেন, তাহলে বিয়ে না-ই করলেন। সেক্ষেত্রই হয়ত বিয়েকে 'মৃত্যু' হিসেবে ফান করে প্রাণ শীতল করতে পারেন। তবে এরকম হবার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। বিয়ে তো কেবল তারাই এড়িয়ে যেতে চায় যারা অক্ষম অথবা চরিত্রহীন। তারাই বিয়ে নিয়ে বাজে কথা তারাই বলে যারা নিজেরা মূর্খ, হতাশ। যারা আল্লাহর উপরে ভরসা করে তার কাছে দোয়া করতে চায় না, পারেনা।<br> <br>সাবধান!! আল্লাহ ও তার রাসূলের নির্দেশ যে পবিত্র বন্ধনকে ঘিরে রয়েছে, তা নিয়ে ঠাট্টা-মশকরাকে "নির্দোষ ফান" হিসেবে ধরে নেয়ার ধৃষ্টতা দেখাবেন না। আপনার "নির্দোষ ফান" কিন্তু আরো অনেকের মনে ডিরেক্টলি বা ইনডিরেক্টলি প্রভাব বিস্তার করে, হতাশ করে। বিয়ে বা পরিবারের মতন অতি-গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে আপনার "ফানি" মন্তব্যগুলো নোংরা উপহাস হয়ে যায় কিনা সেটা খেয়াল করুন।<br> <br>বিয়ে একটি পবিত্র বন্ধন। বিয়ের ফলে একজন মানুষ দ্বীনের অর্ধেক পূর্ণ করতে পারে, বাকি অর্ধেকের ব্যাপারে সে আল্লাহকে ভয় করে। বিয়ে শেখায় দায়িত্ববোধ। বিয়ের ফলে চরিত্র রক্ষার ঢাল আপনি পেতে পারেন। আপনার ব্যক্তিগত চরিত্র ও স্বভাবগুলোতে খুব কাছ থেকে আরেকটা মানুষ বেশ খেয়াল রাখতে পারেন তাই বিয়ে আপনার জন্য একটা রিফ্রেশার ও রিমাইন্ডারও বটে। বিয়ে সমাজের সবচেয়ে গুরুত্বপুর্ণ প্রতিষ্ঠান। বিয়ে নিয়ে তাই নোংরা বাজে ফান করার অপসংস্কৃতিকে না বলুন। আল্লাহকে ভালোবেসে তার ভালোবাসাকে আপন করে নিন। আল্লাহ আমাদের সবাইকে হিদায়াত দিন।</div> </div> Anonymousnoreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7952958826059156073.post-49928173846397528612014-05-01T14:09:00.000+06:002014-05-01T14:10:21.938+06:00নববিবাহিতদেরকে অভ্যর্থনা জানানো<div dir="ltr"><div class="gmail_default" style="font-family:georgia,serif;display:inline">নববিবাহিতদেরকে অভ্যর্থনা জানানো একটা সংস্কৃতি, একটা সৌন্দর্যময় বিষয়। কিন্তু এখনকার খ্যাত সংস্কৃতিতে এইটা হয়ে গেছে এমন -- কংগ্র্যাচুলেশন, কংগ্র্যাটস, নাইস, খুল। আল্লাহ মাফ করুন। অথচ আমাদের সুন্নাহ পদ্ধতিতে নববিবাহিতদের জন্য আশীর্বাদ/অভ্যর্থনা/উইশ হিসেবে যেটা করা হয় সেটা হলো সুন্দর একটা দোয়া --<br> <br>- "বারাকাল্লাহু লাকা ওয়া বারাকা আলাইকা ওয়া জামা'আ বাইনাকুমা ফি খাইর।"<br>- "আল্লাহ আপনার জন্য বরকত দান করুন, আপনার উপর বরকত নাযিল করুন এবং কল্যাণের সাথে আপনাদের উভয়কে একত্রিত করুন।"<br><br>[তিরমিযি/১০৯১, ইবনে মাযাহ ১৯০৫। দোয়াটি পাবেন, হিসনুল মুসলিম: দোয়া নং-৭৮]<br> <br>এখন থেকে আমরা নববিবাহিতদেরকে এই সুন্নাহ পদ্ধতিতে কল্যাণ কামনা/উইশ/আশীর্বাদ করবো ইনশা আল্লাহ! <br></div></div> Anonymousnoreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7952958826059156073.post-40410254788049032822014-05-01T10:30:00.001+06:002014-05-01T10:30:47.174+06:00আপনি যতবার অন্যায়ভাবে প্রবৃত্তির খায়েশ মেটাবেন<div dir="ltr"><div class="gmail_default" style="font-family:georgia,serif;display:inline">আপনি যতবার অন্যায়ভাবে আপনি প্রবৃত্তির খায়েশ মেটাবেন, হোক সে ট্যারা চোখে গাইর-মাহরাম নারীর দিকে তাকানো অথবা টেলিভিশনের পর্দায় তাকিয়ে থেকে স্বল্পবসনা চরিত্রহীন নারীদের দেহের বিভঙ্গ দেখা, অথবা চুরি করে কিছু খাওয়া, কিছু অন্যায়ভাবে মেরে দেয়া, বাসে উঠে টাকা না দিয়ে বাস থেকে নেমে পড়া, আপনি আপনার শারীরিক চাহিদাকে হারাম উপায়ে পূরণ করবেন, কিংবা যতবার অন্যায়ভাবে প্রবৃত্তির চাওয়া পূরণ করবেন -- আপনি আপনাকেই ধ্বংস করছেন।<br> <br>প্রতিটি কামনা ও বাসনার প্রতি সাড়া আপনাকে নামিয়ে দিবে নিচে। যেভাবে নক্ষত্র খসে পড়ে আকাশ থেকে, আপনি বুঝতে পারবেন আপনার মনুষ্যত্বের পতন। আপনার নামাজে মনোযোগ কমে যাবে, আল্লাহর কাছে কাঁদতে পারবেন না, হৃদয় পাপে শক্ত হয়ে যেতে থাকবে আপনি নিজের ভবিষ্যতকে এভাবেই ধ্বংস করতে থাকবেন। <br> <br>বাঁচতে হলে অনুতপ্ত হয়ে আর কখনো করবেন না এমন নিয়াত করে তাওবা করতে হবে। যদি ফিরে পেতে চান হৃদয়ের শান্তি, যদি অনুভব করতে চান প্রিয়জনদের ভালোবাসা -- আপনাকে নিজের পশুত্বকে কুরবানি করে ফিরে আসতে হবে। মনে রাখবেন, পাপাসক্ত অন্তর কখনো পবিত্র ভালোবাসার সৌন্দর্যকে অনুভব করতে পারে না।<br> <br>সাবধান হোন। দুনিয়া ও আখিরাতে কল্যাণ চাইলে হারাম থেকে দূরে থাকুন। নিশ্চয়ই শয়তান চাইবে আপনাকে প্রতিনিয়ত পথভ্রষ্ট করতে। আল্লাহ আমাদেরকে অন্যায়, অশ্লীল ও মন্দকাজ থেকে দূরে থাকার তাওফিক দিন।</div></div> Anonymousnoreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7952958826059156073.post-4641705096544127562014-04-09T15:47:00.001+06:002014-04-09T15:47:55.392+06:00চরিত্র নষ্ট হওয়া থেকে রক্ষা করতে ভালোবাসার একটি টিপস<div dir="ltr"><div class="gmail_default" style="font-family:georgia,serif;display:inline"></div><div class="gmail_default" style="font-family:georgia,serif;display:inline">ভার্সিটি পড়ুয়া ছেলেমেয়েদের চরিত্র নষ্ট করে দিয়েছে মোবাইল ফোন। কে যে কার সাথে আলাপ করে তার হদিস নিজেরাই জানে না। ক্লাসের ফাঁকে, বাসে বসে, রিকসায় বসে ছেলেরা বা মেয়েরা ফোনে কথা বলেই যাচ্ছে পরপুরুষ বা পরনারীর সাথে। কী বিষয়ে কথা বলে, কেউ জানে না, আল্লাহ মাফ করুন। <br> <br>যারা কোন হারাম থেকে বিরত রাখতে নিজেকে অন্যত্র সরিয়ে নেয়, চোখ সরায় হারাম থেকে, কান সরায় হারাম থেকে -- তারা অন্তরে ঈমানের মিষ্টতা অনুভব করে, অন্তর প্রশান্ত হয়, শান্তি অনুভব হয়। আখিরাতে তো আছে বিশাল পুরষ্কার। মুসলিম ভাই ও বোনরা তাই আল্লাহর জন্যও নিজেদেরকে সংযত করায় সেই পুরষ্কারের আগাম বার্তা জেনে নিন। <br> <br>তবে আসেন, একটা টিপস দেই। খুব যদি হবু হউ বা হবু জামাইয়ের কথা মনে পড়ে আর আলাপ করতে ইচ্ছা করে তার সাথে। তাকে চিঠি লিখুন। নিজের কাছে রেখে দিন। মনের কথাগুলো বলুন তাকে সেই চিঠিতে। একদিন যখন সে আপনার স্বামী বা স্ত্রী হয়ে হাজির হবে -- তখন আপনি তাকে উপহার হিসেবে আপনার চিঠিগুলো দিবেন। দেখবেন সে কত পছন্দ করে! কারণ আপনার এই উপহার তার কাছে অমূল্য হয়ে থাকবে। এইটা একটা পার্সোনাল টিপস, কয়েকজন ভাইকে চিনি যারা নিজেরা গোপনে ডায়েরিতে লিখতেন হবু বউকে উপহার হিসেবে এই চিঠিগুলো দিবেন বলে। <br> <br>নিশ্চয়ই আল্লাহ পবিত্র মানুষদের ভালোবাসেন। আপনি নিজের শরীর ও মনকে পবিত্র রাখার চেষ্টা করছেন তো? <br></div></div> Anonymousnoreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7952958826059156073.post-16635499928509456812014-03-30T13:11:00.001+06:002014-03-30T13:11:51.221+06:00পর্নোগ্রাফি, কামসূত্র আর বিকৃত যৌনাচার যেভাবে পরিবারগুলোকে ধ্বংস করছে<div dir="ltr"><div class="gmail_default" style="font-family:georgia,serif;display:inline"></div><div class="gmail_default" style="font-family:georgia,serif;display:inline"></div><div class="gmail_default" style="font-family:georgia,serif;display:inline"> পশ্চিমা ইন্টেলেকচুয়ালরা এই সমাজটাকে "হাইপার সেক্সুয়ালাইজড" সমাজ হিসেবে বলে থাকেন। চিন্তা করে দেখুন, টুয়েন্টি-টুয়েন্টি খেলা দেখতে বসলেন, তাতে কমার্শিয়াল দেখছেন মোবাইল হ্যান্ডসেটের, তাতেও নারী-পুরুষ চুম্বনদৃশ্য। আপনি যদি টেলিভিশন থেকে দূরেও থাকেন, বিলবোর্ডে, পোস্টারে, ফেসবুকের অ্যাডগুলোতে আপনি যথেষ্টই যৌনতা দেখতে পাবেন। পুরুষ-নারীর কামকে জাগিয়ে এসব পণ্য ক্রয় বিক্রয় হয়। পশ্চিম নিয়ন্ত্রিত বিকৃত সংস্কৃতি ও ভারতের নির্লজ্জ-অশ্লীল সংস্কৃতি প্রভাবিত বাংলাদেশীও সংস্কৃতিও এখন বিকৃত, অসুস্থ হয়ে উঠেছে। <br> <br>পশ্চিমারা নারীদেরকে ভোগ্যপণ্য হিসেবে তুলে এনেছিলো অনেক আগেই। যদিও গত কয়েক শতাব্দী আগেও যে যৌনতার বিষয়গুলো এতটা প্রকট ছিলো না তা আমাদের স্বাভাবিক জ্ঞান ও চোখেই আমরা জানি। নারীর মাঝে জাগিয়ে তুলেছে এমন চিন্তা যে টিকে থাকতে হলে পুরুষের কাছে শারীরিকভাবে আকর্ষণীয় হতেই হবে... তারাও সেই চেষ্টা করেছে উন্মাদের মতন। পুরুষের কাছে তুচ্ছ হয়ে গেছে নারীর শারীরিক সৌন্দর্য। ফলে, সেই পুরুষ-নারীদের কাছে ব্যক্তি জীবনে, বিবাহিত জীবনের স্বাভাবিক শারীরিক আনন্দগুলো আর সাধারণ লাগে না। তখন তারা কুরুচিপূর্ণ উপায় বের করে যৌনতাকে মেটাতে চায়। শরীরের যাবতীয় অঙ্গপ্রত্যঙ্গকে ব্যবহার করেও তাদের খায়েশ মেটে না। তারা পর্নোগ্রাফিতে এইসব বিকৃত যৌনাচারকে সহজ করে আনতে চায়, কেননা স্বাভাবিক কোন কিছুই তাদের কাছে আর স্বাভাবিক নেই। যে শারীরিক বিষয়গুলো মানুষকে তৃপ্তি দেয়ার কথা, সেগুলোই তাদেরকে নিকৃষ্ট বিকৃত জন্তুতে পরিণত করে। শেষ পর্যন্ত তারা নারী-পুরুষ ছেড়ে সমলিঙ্গে আনন্দ খুঁজে, পশুদেরকেও ছাড়ে না (আস্তাগফিরুল্লাহ)<br> <br>এসব সমাজ থেকে মুসলিম সমাজের মাঝে অনেক ধারণা যেভাবেই হোক চলে এসেছে; ফলে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের মাঝে কিছু বিষয় জায়েজ/নাজায়েজ কিনা এমন প্রশ্ন মুসলিম স্কলারদেরকে অবাক করে দেয়। বছরের পর বছর ধরে কামসূত্র পাঠ, পর্নোগ্রাফিক গল্প, চটি গল্প পড়তে ওয়েবসাইটে ঢুঁ দেয়া, পর্নোগ্রাফিক মুভিতে বিকৃত ভঙ্গিমায় ও বিকৃত নিষিদ্ধ উপায়ে কামপ্রবৃত্তি চরিতার্থ করার দেখে দেখে পুরুষগুলোর মনে (ইদানিং নারীদেরও) গেঁথে যায়। সরলমনা স্ত্রীরা তাদের স্বামীর পাশবিক আচরণ টের পান বিয়ের পরে অন্তরঙ্গতায় এসে। সমাজে অজস্র পরিবারে সুখ পালিয়েছে, অনেক নারী নীরবে কেঁদেছেন, কাঁদছেন। পর্নোগ্রাফিতে আসক্তি সেসব পুরুষদের মস্তিষ্কে ও চিন্তায় স্থায়ী বিকৃতি এনেছে। কী ভীতিকর! এইসব মানুষদের চিকিতসা প্রয়োজন তা সাইকোলজিস্টরা বলে থাকেন। ধীরে ধীরে থেরাপির মাধ্যমে এই নেশা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। কিন্তু তাতে আন্তরিক প্রচেষ্টা প্রয়োজন। তাওবাহ করা প্রয়োজন। তাছাড়া ইসলাম সবকিছুতেই কোমলতা, লজ্জাশীলতা, হায়া শেখায়। সেটা অন্তরঙ্গ সম্পর্কতে গিয়ে পশুদের মতন বল্গাহীন হওয়াটা রুচিবিকৃতির পরিচায়ক, যা পরকালে ভয়াবহ পরিণতির সম্ভাবনা ধারণ করে। <br> <br>পর্নগ্রাফি এখনকার ছেলেমেয়েদের কাছে ডালভাত হয়ে যাচ্ছে, যা বিশাল গুনাহ। পর্নোগ্রাফি থেকে শেখা বিকৃত যৌনাচার যখন পারিবারিক জীবনে প্রয়োগ করতে যায় তখন সেটা আরেকধাপ এগিয়ে যায়। এই ধরণের মানুষ কখনো সন্তুষ্ট হয় না। পর্নগ্রাফির নেশা তাদের শারীরিক তৃপ্তিকে নষ্ট করে ফেলে। অথচ মুসলিম পুরুষ বা নারী নিজেদেরকে নতদৃষ্টিতে, সংযত আবেগে চলার পরে বিবাহিত জীবনে পরস্পরের মাঝে সুন্দর উপায়েই আনন্দ খুঁজে পাওয়ার তথা ছিলো। স্বামী-স্ত্রীর স্বাভাবিক অন্তরঙ্গতাই তাদের পূর্ণ আনন্দের বিষয় হবার কথা ছিলো। আজকাল ছেলে মেয়েরা অন্তরঙ্গ জীবন সম্পর্কে শিখতে যায় 'কামসূত্র' থেকে, যা অশ্লীলতা আর নগ্নতার চুড়ান্ত বিষয়। স্কলারদের অনেকেই বলেন দাম্পত্য জীবনের প্রয়োজনীয়টুকু মানুষ আপনাআপনি শিখে যায়। তবে, ইসলামে অন্তরঙ্গতায় কতটুকু অনুমুতি আছে, কতটুকু নিষেধ --এগুলো সময়মতন জেনে নেয়া উচিত। ব্যাস! মনে রাখা উচিত, আল্লাহ কোমলচিত্ত, লজ্জাশীল ও পবিত্র মানুষদের পছন্দ করেন। <br> <br>কেন এই কথা বলছি? দেখুন ভাই, আপনি একজন মানুষ। আল্লাহ মানুষকে কিছু শারীরিক, মানসিক যোগ্যতা দিয়ে পাঠিয়েছেন। ইসলাম আমাদেরকে সেগুলোর নিয়ন্ত্রিত ব্যবহারের জন্য বলেছে। আমাদের উদ্দেশ্য অনেক অনেক উঁচু, অনেক বিশাল, তাতে আছে শুধু মানুষ না, এই গোটা প্রাণীকূলের, পরিবেশকেও যথাযথ রাখার দায়িত্ব। আমাদের মন-হৃদয় আর চিন্তাগুলোই হবার কথা অনেক বিশাল। সেখানে আমাদের যুবসমাজও যেন যৌনতাকেন্দ্রিক অদ্ভুত বিচিত্র কিছু জান্তব চিন্তা নিয়ে বেড়ে উঠছে... আল্লাহ আমাদের মুসলিম সমাজকে নগ্নতা-অশ্লীলতা-বেহায়াপনা-বিকৃতকাম-অবৈধ যৌনাচারের হাত থেকে রক্ষা করুন। আল্লাহ আমাদেরকে এমনভাবে চলার তাওফিক দিন যেন আমরা দুনিয়ায় শান্তি ও আখিরাতে মুক্তি পেতে পারি। <br> </div></div> Anonymousnoreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7952958826059156073.post-62790975956377965612014-03-29T08:35:00.000+06:002014-03-29T08:36:27.433+06:00আপনি কি চান আপনার বিয়েটা হোক পবিত্রতার স্পর্শমাখা?<div dir="ltr"><div class="gmail_default" style="font-family:georgia,serif">কখনো ভেবে দেখেছেন আপনার স্ত্রীকে/স্বামীকে আপনি যেদিন বলবেন, "তুমি আমার জীবনের অনেক অপেক্ষার ফসল। তোমার সাথে মনের কথাগুলো বলব বলে সাজিয়ে রেখেছি অনেকগুলো বছর ধরে..." <br> <br>আপনি কি জানেন বিবাহিত জীবনের কত বড় আত্মবিশ্বাস আপনাদের এই অন্তর ও শরীরের পবিত্রতাটুকু? যারা সৎ, তাদের আত্মবিশ্বাস দেখেছেন? তারা জানেন তাদের অর্জনটুকু কষ্টসাধ্য। তখন প্রিয়জনেরা তাদের প্রতি এমনিতেই অনেক বেশি আকর্ষণ অনুভব করেন। তারা জানেন, এই মানুষটাকে বিশ্বাস করা যায়, এই মানুষটার প্রতি নির্ভর করা যায়।<br> <br>যাদেরকে টেলিভিশনে দেখেন, পত্রিকায় দেখেন পণ্যের পাশের রূপ বেচতে, যারা ফেসবুকে ছবি আপলোড করে লোকের সস্তা কমেন্ট পেতে আনন্দবোধ করে -- তারা নিজেরাও নিজেদেরকে সস্তা করে ফেলে। নিজেকে তাদের তলে নিয়েন না, দূরে থাকুন।<br><br> আপনি আল্লাহর এক অমূল্য সম্পদ। ভুল করলে তাওবা করুন, আল্লাহকে বলুন তিনি যেন আপনাকে সাহায্য করেন শরীর ও মনের পবিত্রতার জন্য। যদি সৎ চরিত্রের কোন নারী বা পুরুষকে জীবনে চান, নিজেকে শুধরে ফেলুন। <br> <br>আল্লাহ তার প্রিয় বান্দাদেরকে কিন্তু অপবিত্র হৃদয়ের মানুষের হাতে তুলে দেন না। আপনি চরিত্র উত্তম না হলে আপনি কখনই এমন মানুষকে জীবনে পাবেন না যে আপনার চক্ষুশীতলতাকারী জীবনসঙ্গী হবেন। জীবন কিন্তু অনেক বড়। বিয়ে আপনার জীবনের অনেক বড় একটা ঘটনা। সবাইকে ফাঁকি দিতে পারলেও আল্লাহকে পারবেন না কিন্তু... <br> <br>চারিত্রিক স্বচ্ছতা দিয়ে আপনার স্বামী/স্ত্রীর কাছে আপনি যতটা প্রিয়/বিশ্বাসভাজন/অমূল্য হতে পারবেন-- লাখ লাখ টাকার বাড়ি-গাড়ি-গহনা দিয়েও তাকে মুগ্ধ করতে পারবেন না চরিত্রে আর নিয়াতে সমস্যা থাকলে। মনে রাখবেন, খারাপ লোকেরাও সৎ লোকের মূল্য বুঝে। <br> </div></div> Anonymousnoreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7952958826059156073.post-28357639101408296502014-03-27T10:33:00.001+06:002014-03-27T10:33:57.835+06:00ভাইয়া, পথে ঘাটে সুন্দরী-রূপসী নারীদের দেখে আকর্ষণ হয়, তাইনা?<div dir="ltr"><div class="gmail_default" style="font-family:georgia,serif">আচ্ছা ভাইয়া, আসুন একটুখানি কথা বলি। পথে ঘাটে সুন্দরী-রূপসী নারীদের দেখে আকর্ষণ হয়, তাইনা? আপনি অবিবাহিত, ঠিক দ্রুত তেমন সম্ভাবনাও নেই বিয়ে হবার, তাই মন আরো উদাস হয়? পথে/স্কুলে/কলেজে/ভার্সিটিতে/ক্লাসরুমে আকর্ষণীয়া মেয়েদের দেখে বুকে দীর্ঘশ্বাস হয়? আশেপাশে সবাই যখন জোড়া বেঁধে ঘুরে, ফোনে ইটিশ-পিটিশ করে তখন নিজেকে একলা একলা লাগে? <br> <br>জানেন তো, যে জিনিস সহজে পাওয়া যায়, তার ফলাফল কেমন হয়? 'সস্তার তিন অবস্থা' পড়েননি? যে মেয়েটাকে সহজেই আপনি পাবেন, সে কিন্তু আপনার হাত থেকেও *সহজেই* অন্য কারো হাতে চলে যাবে। যে মেয়েটার সৌন্দর্য আপনি দেখতে পাচ্ছেন, দেখে মুগ্ধও হচ্ছেন, সে তার সৌন্দর্য আরো অনেক লোকের কাছেই দেখিয়ে বেড়াবে। মানুষ এমনই, তাকে জোর করে বদলানো যায় না, চাপ প্রয়োগে মানুষ আরো বেশি প্রতিক্রিয়াশীল হয়। এই প্রক্রিয়াতেও আপনি তাকে 'ঠিক' করতে পারবেন না। <br> <br>কী পারবেন জানেন? নিজেকে ঠিক করতে। আল্লাহকে ভয় করার সুযোগ আছে, তাওবা করলে তিনি মাফ করবেন আপনাকে। বিনিময়ে অল্প কয়েকদিনের দুনিয়াতে তো শান্তি আছেই, আখিরাতে মুক্তিও আছে। <br><br>এই সমাজেই অজস্র বোন আছে, যারা তাদেরকে পবিত্র রেখেছে, যারা তাদের শরীর ও মনকে এমন মানুষের জন্যই রেখে দিয়েছে যে তাদেরকে পূর্ণ অধিকার দিয়ে ঘরের কর্ত্রী করে, জীবনের সঙ্গিনী করে নিয়ে আসবে। আপনি কি এমন দ্বীনদার কোন নারীকে পেতে চান না? আপনি কি চান না আপনার সন্তানের মা এমন কেউ হোক, যিনি পবিত্র চরিত্রের, যিনি সন্তানদেরকেও তার মা ও তার বাবার মতন চরিত্রকে মুগ্ধ হয়ে গ্রহণ করার শিক্ষা দিবেন? <br> <br>আসুন ভাই, সস্তা না হই, সস্তা এইসব তুচ্ছ/নোংরা/জঘন্য সংস্কৃতিতে হারিয়ে না যাই। নিজেকে যোগ্য করুন, দেখবেন আল্লাহ আপনার জন্য কোথা থেকে যে এক অসাধারণ নারীকে হাজির করেছেন যার দ্বীনদারী দেখে আপনি মুগ্ধ হয়ে যাবেন। <br><br>আপনার কিন্তু বাজারের সব চকচকে পোশাক দেখে লাভ নেই, যে পোশাক আপনার দেহের সাথে সাইজে ভালো হয়, ফিটিং হয়-- সেটাই আপনি কিনে নেন। তেমনি, সস্তা সব পণ্যের মতন নারীদের দিকে ভ্রূক্ষেপ করবেন না, বরং এমন এক মানুষের জন্যই অপেক্ষা করুন যে আপনার জীবনের জন্য, আপনার পারিবারিক জীবনের জন্য অসাধারণ হবে, আপনারা দু'জনে মিলে জান্নাতে যাওয়ার পথে জ্ঞানার্জন ও আমল করতে পারবেন। <br> </div></div> Anonymousnoreply@blogger.com0tag:blogger.com,1999:blog-7952958826059156073.post-10221853115233579102014-03-24T22:24:00.000+06:002014-03-24T22:26:41.854+06:00যদি মনে করেন বিয়ের আগে প্রস্তুতি দরকার নেই তবে যেসব ক্ষতি হতে পারে<div dir="ltr"><div class="gmail_default" style="font-family:georgia,serif;display:inline"></div><div class="gmail_default" style="font-family:georgia,serif;display:inline">বিয়ের আগে সত্যিই অনেক প্রস্তুতি দরকার। যারা মনে করেন প্রস্তুতি ছাড়াই বিয়ে করলে সমস্যা নেই,তারা এখনকার সময়ে চারিদিকে দাম্পত্য কলহ এবং বিবাহবিচ্ছেদের পরিমাণ দেখলেই বুঝতে পারবেন মানুষে মানুষে অমিলগুলো এখন সংসারে সহাবস্থানে প্রতিবন্ধক হয়ে দাঁড়াচ্ছে। যাই হোক, বিয়ের মূল প্রস্তুতিটা মানসিক, তবে এর সাথে আরো অনেক কিছুই চলে আসে। আপনাকে ফোকাসড হতে হবে। আবেগ থেকে বের হয়ে আসতে হবে। আপনাকে নিজেকে প্রশ্ন করতে হবে, আপনি কি আসলেই আপনার জীবনটা আরেকজনের সাথে শেয়ার করতে প্রস্তুত?<br> <br>বিয়েতে যদি মনে করেন আরেকজন কেবল আপনাকে 'সার্ভিস' দিবে, তাহলে আপনি সম্পূর্ণ ভুলের উপরে আছেন যা আপনাকে অশান্তি এনে দিবে নিশ্চিতভাবে। ঠিক উল্টোটা যদি হয়, আপনি যদি আরেকজনকে কী কী 'কর্তব্য' পালন করে দিবেন তা চিন্তা করেন, এবং সেই কর্তব্য সম্পর্কে ভাবতে ভাবতে যখন নিজের অভ্যাসগুলো নিয়ে ভাবতে পারবেন -- তখন আপনি কিছুটা বুঝতে পারবেন আপনার এখনকার আপনি মানুষটার সীমাবদ্ধতাটুকু। এই চিন্তাটুকু করে যদি তেমন কিছুই বের করতে না পারেন, নিশ্চিত থাকুন আপনি এখনও তেমন কিছুই বুঝেননি আপনার দায়িত্ব ও কর্তব্য নিয়ে।<br> <br>বিয়ের মাঝে আল্লাহ অনেক প্রশান্তি, আনন্দ ও দয়া রেখেছেন। কিন্তু একজন মানুষ কিন্তু মূলত দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে সংসার শুরু করে। একজন পুরুষ যখন বিয়ে করে, তখন সে তার স্ত্রী হওয়া নারীটির বাকি জীবনের সম্পূর্ণটার ভরণপোষণের দায়িত্ব নিয়ে নেয়। চিন্তা করে দেখেছেন তো আপনি কত বিশাল দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন? একইভাবে, একজন নারী যখন তার স্বামীর সংসারে যান, তিনি তার স্বামীর সংসারটির কর্ত্রী হয়ে তিনি সেই স্বামীর পরম বন্ধু হয়ে তার দেখাশোনা এবং মা হয়ে তার সংসারের সকল সন্তানদের জন্মদান এবং তাদের বড় করার মতন কিছু বিষয় কাঁধে নিয়ে ফেলেন। বিয়ের মূহুর্তটির পর থেকে এই ধাপগুলোসহ আরো অজস্র বিষয় অবধারিতভাবেই একজন পুরুষ বা নারীর কাঁধে চেপে বসে।<br> <br>তাই, বিয়ে নিঃসন্দেহে অবহেলা বা হালকা করে নেয়ার বিষয় নয়। আপনার জীবনের সম্ভাব্য সবচেয়ে বড় সিদ্ধান্তগুলোর একটি এই বিয়ে। সুতরাং, বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে আবেগের চেয়ে একটু মাথা ঠান্ডা করে নিজের যোগ্যতা নিয়ে ভাবুন। নিঃসন্দেহে আল্লাহ আপনাকে অনেক গুণ দিয়েছেন এবং অবশ্যই আপনি আরো কিছু সীমাবদ্ধতা নিয়ে আছেন। কী করলে আপনি নিজেকে উন্নত করতে পারবেন, কীভাবে সেই সংসার জীবনে শান্তি আনতে পারবেন সেই চিন্তা করে কাজ করতে থাকুন।<br> <br>তার চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, বিয়ে করবেন যাকে, তার কিছু স্বভাব এবং আচার-আচরণ আছে, যা আপনার চেয়ে ভিন্ন হবে। তার কথাবার্তার বিষয় এবং ভালোলাগার বিষয়েও প্রচুর অমিল থাকবেই। তার পরিবার থাকবে, সেই পরিবারের প্রতি তার প্রচুর কর্তব্য থাকবে, আবেগ এবং জটিলতা থাকবে। যেই আপনি কথাবার্তা ভিন্ন হওয়ার কারণে অনেক বন্ধুদেরকে এড়িয়ে চলেছেন, সেই আপনি কি প্রায় পুরো অচেনা মানুষটির গোটা জীবনটাকে আপনি মেনে নিয়ে সম্ভাব্য কর্তব্যটুকু করতে মানসিকভাবে প্রস্তুত তো?<br> <br>এই প্রস্তুতিগুলো না থাকলে দেখা যাবে আপনি হয়ত এমন কিছু আচরণ করে বসবেন যাতে আপনার সেই স্বামী বা স্ত্রী আঘাতপ্রাপ্ত হবেন। তার সেই প্রতিক্রিয়া থেকেই হতে পারে আপনার সংসারের অশান্তির শুরু। তাই ((যদি বিয়ে করতেই চান)) ব্যক্তিগত চরিত্র, চিন্তার ধরণ, সহিষ্ণুতা, সহমর্মীতা, সচেতনতা, পরোপকারিতা, দায়িত্ববোধ নামক গুণগুলো যথাসম্ভব অর্জনে নিজেকে নিয়োজিত রাখুন!!<br> <br>আল্লাহ আমাদেরকে এমন পরিস্থিতিতে ফেলে দেন না যা আমাদের সমাধানের অতীত। এই বিষয়গুলোও অসম্ভব নয়। তবে, যদি কল্যাণ চান, যদি সুন্দর একটি দাম্পত্য জীবন আশা করেন, যদি সুখী পরিবার কামনা করেন তাহলে আপনাকে অবশ্যই এইসব কিছু বিষয়ে সচেতন হওয়া জরুরি। একটুখানি ভাবুন, নিজেকে নিয়ে কাজ করুন, প্রস্তুত হোন -- ইনশা আল্লাহ আপনি কল্যাণপ্রাপ্ত হবেন।<br> <br>সবচেয়ে বড় কথা, আমরা কিছুই করতে পারিনা যদি আল্লাহ সাহায্য না করেন, যদি আল্লাহ কবুল না করেন। তাই, আল্লাহর কাছে খুব বেশি করে দোয়া করুন। দোয়া একটি ইবাদাত, দোয়া ঈমানদারদের জন্য এক অব্যর্থ অস্ত্র যা অসম্ভবকে সম্ভব করে দেয়। সুবহানাল্লাহ! আল্লাহ আমাদের উত্তম স্বামী/স্ত্রী হবার এবং পাওয়ার তাওফিক দান করুন। আল্লাহ আমাদেরকে সুন্দর একটি সমাজ গঠনের তাওফিক দান করুন।</div> </div> Anonymousnoreply@blogger.com0