27 August 2014

ছেলেরা সম্মান পেতে চায়, মেয়েরা চায় ভালোবাসা

শাইখ ওয়ালিউল্লাহ একটা আলোচনাতে বলেন, আমরা আমাদের বাপ-দাদাদের খারাপ ট্রেডিশানগুলোই মূলত অনুকরণ করেছি, ভালোগুলো খুব কমই করি। এখনকার সমাজে তাই খারাপের প্রচলন অনেক বেশি হয়ে গেছে। উদাহরণস্বরূপ বলছিলেন, একসময় দাদী-নানীরা সম্মান করে তাদের হাজব্যান্ডদের নাম ধরে ডাকতেন না কখনো। যদিও এই ধরণের কোন বিষয় ইসলাম আদেশ করে না তবু এরকম সম্মানের ব্যাপারগুলো এখন সমাজ থেকে প্রায় উঠেই গেছে। এখনকার অনেক অনার্স/মাস্টার্স পাশ স্ত্রী তাদের স্বামীদের গায়ে হাত তোলেন এমন ঘটনাও সমাজে বেশ ছড়িয়ে গেছে। চল্লিশা, তিরিশা টাইপের কিছু শোক পালনের মতন বানোয়াট এবং ভুল ট্রেডিশান এখনো সমাজের আনাচে কানাচে চলছেই... কিন্তু আমাদের দাদাদের মুখের উপরে কথা বলা দূরে থাক, তাদের চেয়ারে পর্যন্ত বসার কাজটি করতেন না আমাদের আব্বা-চাচারা। যদিও ইসলাম এমনটি করতে বলে না, তবু আমরা তো সম্মান করার বিষয়গুলো না নিয়ে কেবল ভুল ও নিষিদ্ধ কাজগুলোকেই জারী রাখছি পরবর্তী সময়ে... 

সম্মান করা ভালোবাসা পাওয়ার একটি মাধ্যম। বেশিরভাগ মানুষই বলেন, ছেলেরা সম্মান পেতে চায়, মেয়েরা চায় ভালোবাসা। সংসারের ছোট-বড় কাজে স্বামীদের সম্মান না দিয়ে বরং লাঞ্ছিত-অপমানিত করার মাঝে নারীর ভালোবাসা অর্জনের কোন সম্ভাবনা নেই, তেমনি স্ত্রীকে ভালোবাসা না দিলেও সম্মান পাওয়া যায় না। এই বুঝগুলো আমাদের সমাজ থেকে যেন হারিয়েই যাচ্ছে। ভালোবাসা এবং সম্মান কোন দাবী-দাওয়ার মতন বিষয় নয়, কিন্তু এটা কাজ দিয়ে অর্জন করে নিতে হয়।

প্রিয়জনদেরকে তাদের প্রাপ্য সম্মান ও ভালোবাসা বুঝিয়ে দিন এবং নিজেকে প্রস্তুত করুন আগামীর সুন্দর জীবনের জন্য।

1 comment: